বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ)

বর্তমানে বাংলাদেশে এমন একটি পরিস্থিতি হয়েছে যে পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া খুবই মুশ*কিল। যার কারণে বেশিরভাগ মানুষ এখন অনলাইন প্লাটফর্ম এ কাজ করার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তাইতো মানুষ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে জানতে চাই। আর আপনারা যদি গুগলে সার্চ করে আমাদের এই পেজটিতে এসে থাকেন। তাহলে অবশ্যই সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ফ্রিল্যান্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং এর 20+ কাজ নিয়ে আলোচনা করবো।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ)
আপনি যদি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে আপনি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এটি সহ ফ্রিল্যান্সিং এর 20+ কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

ভূমিকা - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ)

কথায় আছে না যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকলে কাজের অভাব নেই। আর সেই কাজ যদি হয় ফ্রিল্যান্সিং এর তাহলে তো কোন কথায় নেই। কারণ বর্তমান এই মডার্ন যুগে মানুষ অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ ইনকাম করছে। আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কোন কাজের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকে, তাহলে আপনি সেই যোগ্যতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে গ্রাফিক ডিজাই, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি কাজগুলোর চাহিদা অনেক বেশি।

আরো পড়ুনঃ ডেইলি 500 টাকা ইনকাম ‍apps গুলোর নাম 

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং কাজ কী, ফ্রিল্যান্সিং এর জনক কে, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ) ফ্রিল্যান্সিং কাজ নিয়ে এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করেছি। তাই আপনি যদি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর (20+ কাজ) সম্পর্কে ও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে কিছু তথ্য জানতে চান, তাহলে এই পোস্টটি অবশ্যই পড়তে থাকুন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কী - বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ)

ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা। যেখানে আপনি ইন্টারনেট কানেকশন ব্যবহার কোন প্রতিষ্ঠানের আন্ডারে না থেকে নিজের ইচ্ছামতো কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো হলো এমন কাজ যেটি আপনি পার্মানেন্ট ভাবে চুক্তিবদ্ধ না হয়ে বরং প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলো কি? ফ্রিল্যান্সিং এ বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন, ভিডিও এডিট, ফটোগ্রাফার, কনটেন্ট রাইটিং, এসইও এক্সপার্ট ইত্যাদি আরো বিভিন্ন ধরনের কাজে রয়েছে। এখানে যে কাজ করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলা হয় এবং যেখান থেকে কাজ নেওয়া হয় সেটিকে মার্কেটপ্লেস বলা হয়। একটি উদাহরণ দিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি।

ধরুন আপনি একজন ভিডিও এডিটর। এখন একজন সিনেম্যাটোগ্রাফার তার সিনেমার ভিডিও এডিট করার জন্য একজন ভিডিও এডিটর খুঁজছেন। তাই সে একটি অনলাইনে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। এখন আপনি সেই বিজ্ঞাপনটি দেখে তার থেকে কাজটি নিয়ে ভিডিওটি এডিট করে দিলেন। তার বিনিময়ে সিনেম্যাটোগ্রাফার আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ প্রদান করলো। তাহলে এখানে আপনি অর্থাৎ ভিডিও এডিটর হলেন ফ্রিল্যান্সার আর সিনেম্যাটোগ্রাফার হলেন বায়ার এবং যেখানে বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল সেটি হলো মার্কেটপ্লেস। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন ফ্রিল্যান্সিং এর জনক কে এবং বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি ও 20+ ফ্রিল্যান্সিং কাজ সম্পর্কে জেনে নেই।

ফ্রিল্যান্সিং এর জনক কে?

ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা, এটিকে আবার এক প্রকার পাবলিক ব্যবসাও বলা যায়। এখানে একজন ব্যক্তি তার নিজের ইচ্ছামত কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা শুরু হয় ১৮১৯ সালে প্রথম ফ্রিল্যান্সার ছাপার মধ্য দিয়ে। এরপর এটি ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। এছাড়াও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর কার্যালয় ম্যানিলা, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, লন্ডন, বুয়েনোস, ভ্যানকুভার, জাকার্তা এবং আইরেসও রয়েছে। তবে একটি প্রস্তুতকারী মূল প্রতিষ্ঠাকারী দেশ অস্ট্রেলিয়া।

আরো পড়ুনঃ ফ্রি টাকা ইনকাম apps 2023 গুলোর নাম 

ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠাকারী গণ হলো ম্যাট বেরী। এছাড়া বর্তমানে ফ্রিল্যান্সং এর চেয়ারপারসন হলেন ম্যাট বেরী। এর বাইরে ও বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর প্রধান ব্যক্তিগণ রয়েছে তারা হলেন ম্যাট বেরী, CEO নেইল কেটজ , CFO, পিটার ফিলিপস,  Deputy CFO, VP Eng ক্রিস কক্। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর পরিবেষ্টিত এলাকা পুরো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত।

ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন হয়?

ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে আপনি মুক্তভাবে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের ক্যারিয়ার গড়েছে। আপনিও যদি ফ্রিল্যান্সিং করে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন হয় এই সম্পর্কে জানতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন হয় তা নিচে তুলে ধরা হলো।

কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ

তেল ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না তেমনি আপনার যদি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ না থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন না। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার এই দুটি সরঞ্জাম লাগবেই। কিন্তু বর্তমানে অনেকেই বলে মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। আসলে বাস্তবে তা হয় না। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার কিনতে হবে। বিঃদ্রঃ কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ আবার ঋ*ণ করে ক্রয় করবেন না।

ইন্টারনেট কানেকশন

শুধুমাত্র কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকলেই যে আপনি কাজ করতে পারবেন, বিষয়টি যে এমন তা কিন্তু নয়। কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ থাকার পাশাপাশি আপনার থাকতে হবে ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন। কারণ ফ্রিল্যান্সং একটি অনলাইন ভিত্তিক কাজ ।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে সকল জিনিস প্রয়োজন তার মধ্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটু ভুল সিদ্ধান্ত আপনার সারা জীবনের কান্না হতে পারে। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে সকল দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। তাহলে সফল হতে পারবেন।

ভালো ইংরেজি জানতে হবে

বর্তমানে ইংরেজি আমাদের আন্তর্জাতিক ভাষা। ইংরেজি ভাষা পৃথিবীর সব দেশেই প্রচলিত। আর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো পুরো পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত। তাই আপনি যদি ভালো ইংরেজি না জানেন তাহলে সহজেই কাজ পাবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভালো ইংরেজি জানতে।

আরো পড়ুনঃ দিনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার সেরা apps 2023

জ্ঞান ও দক্ষতা

ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জ্ঞান ও দক্ষতা। কারণ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ প্রতিযোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাই আপনার যদি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন কাজের প্রতি জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকে তাহলে কাজ পাবেন না। সুতরাং, ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে কোন একটি কাজের উপর ভালো জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করুন।

ধৈর্য

কথায় আছে না “ধৈর্যই সফলতার মূল চাবিকাঠি”। আর ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি হলো ধৈর্য। শুধু ফ্রিল্যান্সিং বলতে নয় সব কাজের জন্যই দরকার ধৈর্য। কারণ ধৈর্য ছাড়া সফলতা পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়া মুখের কথা নয়। এখানে কাজ পেতে হলে আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে। এছাড়াও ধৈর্যের পাশাপাশি আপনার প্রচুর পরিমানে ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে, কৌশল অবলম্বন করতে হবে ইত্যাদি।

আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোনটি বেশি প্রয়োজন হয়। এখন চলুন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং ফ্রিল্যান্সিং এর (20+ কাজ) সম্পর্কে জেনে নেই।

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি (20+ কাজ)

বর্তমানে দেশের বেকারত্ব বেড়ে যাওয়ায় ফ্রিল্যান্সিং এর চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। কারণ বর্তমানে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা লাভ করেছে। যার কারণে এর চাহিদা শত গুনে বেড়ে গেছে। আর ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন তাও আবার স্বাধীন ভাবে। তাইতো বেশিরভাগ মানুষ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই লিখে গুগলে সার্চ করে জানতে চাচ্ছে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এমন (20+ কাজ) নিয়ে আলোচনা করেছি। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে।

আর্টিকেল রাইটারঃ আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালোবাসেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এ  আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসের হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ আর্টিকেল রাইটার এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি বাংলা, ইংরেজি সহ আরো অনেক ভাষায় আর্টিকেল লিখে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ Taka Income BD App দিয়ে ইনকাম

ফিকশন রাইটারঃ ফ্রিল্যান্সিং এ এমন অনেকেই আছেন যারা ফ্রিল্যান্সারদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সাইন্স ফিকশন রিলেটেড গল্প লিখিয়ে নেন। আপনি যদি সাইন্স ফিকশন রিলেটেড গল্প ভালো লিখতে পারে। তাহলে আপনি এখানে ফিকশন রাইটার হিসেবে কাজ করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

ট্রান্সলেটরঃ ট্রান্সলেটর অর্থ দোভাষী। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক ধরনের ভাষা ব্যবহার করা হয়। যেখানে আপনি ট্রান্সলেটর হিসেবে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভাষা শিখতে হবে।

ই বুক রাইটারঃ ই বুক রাইটার কাকে বলে এটি আমরা সবাই জানি। আপনি যদি একজন ই বুক রাইটার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ক্যারিয়ার গড়তে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ভালো মানের কনটেন্ট লেখা শিখতে হবে। কারণ ভালো মানের কনটেন্ট লেখা না জানলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পাবেন না। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ই বুক রাইটার এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি।

বুক ডিজাইনারঃ ডিজাইন মানেই ক্রিয়েটিভিটি। আর আপনি যদি ভালো মানের বই ডিজাইন করতে পারেন তাহলে খুব সহজে ফ্রিল্যান্সিং এ আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। এর জন্য শুধু আপনাকে আপনার ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগাতে হবে।

ঘোস্ট রাইটারঃ ঘোস্ট রাইটার মানে হলো আরেকজনের হয়ে আর্টিকেল লিখে দেওয়া। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ঘোস্ট রাইটার এর চাহিদা অনেক বেশি। কারণ অনেকেই আর্টিকেল রাইডার খুঁজে। এক্ষেত্রে আপনি এই প্লাটফর্মে ঘোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করে অর্থ ইনকাম করতে পারেন।

রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটারঃ রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার সাধারণত জব অ্যাপ্লিকেশন, দরখাস্ত ইত্যাদি কাজের জন্য দরকার হয়। আর আপনি যদি ভালো মানেন ইংরেজি জানেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে রিজিউম এবং কভার লেটার রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি তেমন কঠিন কোন কাজ নয়। এই কাজটি করার জন্য শুধু আপনাকে ভালো মানের ইংরেজি জানতে হবে।

কার্টুন আর্টিস্টঃ কার্টুন আর্টিস্ট সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ একটি কাজ। আপনার মধ্যে যদি এই ক্রিয়েটিভিটা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং জগতে কার্টুন আর্টিস্ট করে অনেক অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। এর পাশাপাশি নিজের একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

ব্যানার এড ডিজাইনারঃ বর্তমানে বিশ্বে বড় বড় কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানির প্রচার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যানার এড ডিজাইনার করে। আর এই জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের ডিজাইনারদের হায়ার করে। তাই আপনি যদি ভালো ব্যানার এবং এড ডিজাইনার করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ব্যানার এবং এড ডিজাইনার প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

এসইও কনসালটেন্টঃ SEO বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে যদি আপনার প্রপার ধারণা থাকে এবং আপনি যদি একজন SEO এক্সপার্ট হন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনি SEO কনসালটেন্ট এর মাধ্যমে নিজের ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। কারণ বর্তমানে যারা SEO এক্সপার্ট তাদের অনেক দাম এবং মার্কেটপ্লেসে তাদের জন্য অনেক কাজ রয়েছে।

টি-শার্ট ডিজাইনারঃ বর্তমানে দেশের বিভিন্ন গার্মেন্টস কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানির টি শার্ট ডিজাইন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের টি শার্ট ডিজাইনার হায়ার করে থাকে। আপনার মধ্যে যদি ক্রিয়েটিভিটি থাকে এবং আপনি যদি ভালো মানের টি শার্ট ডিজাইন করতে পারেন। তাহলে আপনি টি-শার্ট ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ করতে পারে। এতে আপনি প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্চঃ কিওয়ার্ড রিসার্চ SEO করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ফ্রিল্যান্সার তাদের ওয়েব পেজের SEO শক্তিশালী করার জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চচারদের হায়ার করে। আর ফ্রিল্যান্সিং  মার্কেটপ্লেস গুলোতে কিওয়ার্ড রিসার্চ কাজের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি একজন ভালো কিওয়ার্ড রিসার্চচার হন তাহলে এখানে কাজ করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারে।

2D অ্যানিমেশনঃ আপনি যদি ভালো মানের 2D অ্যানিমেশন ভিডিও চিত্র তৈরি করতে পারেন। তাহলে বসে না থেকে ফিন্যান্সিং জগতে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ুন। কারণ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে 2D অ্যানিমেশন ভিডিও চিত্রগুলোর অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

আরো পড়ুনঃ মোবাইলে ইনকাম সাইট প্রতিদিন আয় করুন 1000 টাকা 2023

ডাটা এনালাইসিসঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ডাটা এনালাইসিস করার জন্য প্রচুর পরিমাণে চাকরির পদ রয়েছে। কিন্তু ডাটা এনালাইসিস করার জন্য এমন ভালো কোন দক্ষ বিশেষজ্ঞ নেই। তাই আপনি যদি একজন ভালো ডাটা এনালাইসিস বিশেষজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে এই কাজটি করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিংঃ ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমরা অন্য একটি পোস্টে আলোচনা করেছি। পোস্টটির লিংক ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিং এখানে দেওয়া হলো। আপনি যদি ব্লকচেইন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি প্রোগ্রামিং সম্পর্কে ভালো এক্সপার্ট হয়ে থাকে, তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ে এই কাজ করেও প্রচুর অর্থ ইনকাম হিসাব করতে পারবেন।

App ডেভেলপারঃ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে মোবাইল অ্যাপস তৈরি করার জন্য অনেক কাজ রয়েছে। আপনি যদি একজন ভালো মানেন মোবাইল অ্যাপস তৈরি করতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে App ডেভেলপার হিসেবে কাজ করে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

Accountant বা হিসাবরক্ষকঃ বর্তমানে অনলাইনে অনেক বড় বড় কোম্পানি তাদের কোম্পানির ব্যালেন্স শীট, ledger accounts, P&L statements ইত্যাদি তৈরি করার জন্য হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেয়। আপনি চাইলে এখানে একজন হিসাবরক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো তাদের সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ গুলো পরিচালনা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার নিয়োগ দেয়। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে এখানে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হিসেবেও কাজ করতে পারেন।

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ আপনারা চাইলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে অনলাইন জগতে কাজ করতে পারেন। তবে পৃথিবীতে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে। কারণ আপনাকে বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টদের সাথে কথা বলতে হবে এবং তাদের থেকে কাজ বুঝে নিতে হবে।

এছাড়াও আপনি বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আরো অনেক কাজ পাবেন। আশা করছি আপনারা বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন চলুন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এর মধ্যে ট্রেন্ডিং এ থাকা ৫টি কাজ সম্পর্কে জেনে নেই।

বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি: ট্রেন্ডিং ৫টি কাজ

বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং জগতে ট্রেন্ডিং এ ৫টি কাজ সম্পর্কে নিজে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট বর্তমানে অনলাইন জগতে ট্রেন্ডিং এ থাকা ৫টি কাজের মধ্যে একটি। বর্তমানে এই কাজটির চাহিদা অনেক বেশি এবং এই কাজটির পারিশ্রমিকও অনেক হাই। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে যান তাহলে দেখবেন এই কাজগুলোর জন্য সর্বনিম্ন ১০০ ডলার পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজটি অনলাইনে অন্য অন্য কাজের তুলনায় একটু কঠিন। কারণ এই কাজটিতে কোডিং জানতে হয়।

আরো পড়ুনঃ টেলিগ্রাম একাউন্ট খোলার নিয়ম দেখে নিন  

তাছাড়া এই কাজটি শিখতে অনেক সময় লাগে। ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর মূল কাজ হলো একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়া। আর একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেওয়ার জন্য অনেক সময় লাগে। যার ফলে এই কাজের পারিশ্রমিকও অনেক বেশি দেওয়া হয়। তবে এই কাজ করার জন্য অনেক ধৈর্য এবং ইচ্ছা শক্তি প্রয়োজন। এই কাজ আপনি তখনই করতে পারবেন বা শিখতে পারবেন যখন আপনি এই কাজটিকে উপভোগ করতে পারবেন।

ভিডিও এডিটিং

বর্তমানে অনলাইন জগতে ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে এই কাজের চাহিদা অনেক বেশি। অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগার, প্রভাবশালী, ইউটিউবার, বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানি ইত্যাদি তারা তাদের নিজেদের ভিডিও এডিট করার জন্য এডিটরদের খোঁজ করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি একজন ভালো ভিডিও এডিটর হতে পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি অনেক কাজ পাবেন। এছাড়াও ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আপনারা 2D অ্যানিমেশন চিত্র, 3D অ্যানিমেশন চিত্র তৈরি করতে পারবেন। এই ভিডিওগুলো তৈরি করে বা বিভিন্ন সিনেমার ভিডিও এডিট করে দিয়ে ভালো অর্থ ইনকাম করতে পারবেন।

কনটেন্ট রাইটিং

বর্তমানে বহুল জনপ্রিয় একটি কাজ হলো কনটেন্ট রাইটিং। এক্ষেত্রে আপনি যদি লেখা লেখি করতে ভালোবাসেন। তাহলে আপনি এই কাজটি করে ফ্রিল্যান্সিং জগতে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। আর এই কাজের জন্য আপনারা ভাল পরিমানে অর্থও পাবেন। এই কাজটি আপনারা আপনাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে করতে পারেন আবার অন্যের ওয়েবসাইটে ঘোস্ট রাইটার হিসেবে কাজ করতে পারেন। এর জন্য শুধু আপনাকে রাইটিং স্কিল বাড়াতে হবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে অনেক কিছুকে বোঝানো হয়। যেমন এফিলেট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, twitter মার্কেটিং ইত্যাদি। বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের সফলতার মূলে রয়েছে মার্কেটিং। কারণ মার্কেটিং ছাড়া আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রি বাড়াতে পারবেন না। আর এই মার্কেটিং যদি অনলাইন মাধ্যম গুলো ব্যবহার করে করা হয় তাহলে তাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা অনেক বেশি। আর ডিজিটাল মার্কেটিং করে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো সোশ্যাল মিডিয়াম মার্কেটিং।

গ্রাফিক্স ডিজাইন

যারা ডিজাইন করতে ভালোবাসে অথবা কোন কিছু আঁকাআঁকি করতে ভালোবাসি তারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ একটি কাজ। এখানে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের লোগো, গাড়ির মডেল ডিজাইন, বাড়ির ডিজাইন, পণ্য প্যাকেজিং, ব্যবসায়িক কার্ড ডিজাইন ইত্যাদি ধরনের ডিজাইন করতে হবে। আর বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দাম অনেক বেশি। আর এই কাজের চাহিদাও অনেক বেশি। তাই আপনারা যারা ডিজাইন করতে ভালোবাসেন তারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে অনলাইন জগতে নিজের একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি - শেষকথা

ফ্রিল্যান্সিং জগতের বর্তমানে যে কাজগুলোর চাহিদা সবচেয়ে বেশি সেই কাজগুলো সম্পর্কে ইতিমধ্যে আপনারা উপরের পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝে গেছেন বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এই সম্পর্কে। এই পোস্টটিতে যতগুলো কাজ উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যেও আপনার কাছে যেটি ভালো লাগে সেই কাজটি শিখে অনলাইন জগতে নিজের একটি উজ্জলময় ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

আরো পড়ুনঃ টেলিগ্রাম অ্যাপে কিভাবে গ্রুপ খুলবেন

আমরা আশা করছি এই পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। কেননা তারাও যেন এই পোস্টটি পড়ে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারে। আর আপনারা কি ধরনের পোস্ট পড়তে চান তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন। ধন্যবাদ।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url