মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন জেনে নিন

 

আসসালামু আলাইকুম, আশা করি সবাই ভাল আছেন। আপনি কি ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে জানতে চান? মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, এর কাজ কি এগুলো বিষয় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আজকের পোস্টটি পড়তে পারেন। কারণ আজকের পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করব ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় বিষয় নিয়ে। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন
আজকের আমরা পোস্টটিতে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই যারা ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে পারেন।

ভূমিকা

আপনি কি বেকার? আপনি কি টাকা আয় করার কোন মাধ্যম খুঁজে পাচ্ছেন না? আপনি কি সময় বাঁধা কাজ করতে করতে বিরক্ত? তাহলে আপনি ফিনান্সিং এর সাথে যুক্ত হতে পারেন। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি পেশা যেখানে কাজ করার জন্য ধরাবাঁধা কোন সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা, যেখানে ইচ্ছা সেখানেই কাজ করতে পারবেন। 

এছাড়াও বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে বেকারত্বের হার অনেকাংশে কমে এসেছে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজকের পোস্টটিতে আমরা ফ্রিল্যান্সিং কি এবং মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন, এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক- 

ফ্রিল্যান্সিং কি

ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি পেশা। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটি মূলত চাকরির মতোই, কিন্তু চাকরি আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্য পার্থক্য হলো- চাকরি করতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে, কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আপনার যখন ইচ্ছা যেখানে ইচ্ছা সেখানেই কাজ করতে পারবেন।ফ্রিল্যান্সিং এর আরেকটি সুবিধা হলো এটির মাধ্যমে অফিসে না গিয়ে ঘরে বসেই কাজ করা যায়।

আরও পড়ুনঃ কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশের নাম ও পরিচিতি 

অন্যকথায়- নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যখন কোন ব্যক্তি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকেই একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করে দিতে পারে তখন তার ওই কাজকে ফ্রিল্যান্সিং বলা হয়। এক্ষেত্রে যে ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং করে তাকে ফ্রিল্যান্সার বলে।

ফ্রিল্যান্সিং কত প্রকার

বর্তমান সময়ে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে জীবিকা নির্বাহের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আপনি work-from-home বা ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা পাবেন। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বর্তমান বিশ্বে এমন হাজার হাজার ফ্রিল্যান্সিং চাকরি রয়েছে। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত কাজ করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। তার মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু জনপ্রিয় প্রকারভেদ নিচে তুলে ধরা হলো-

  • ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটরঃ ফ্রিল্যান্স ট্রান্সলেটর বলতে ভাষার অনুবাদ করা বোঝায়। যে ভাষার অনুবাদ করে তাকে অনুবাদক বলা হয়। এখানে একজন ফ্রিল্যান্সার তার ক্লায়েন্টের লিখিত বিষয়বস্তুগুলো এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করে দেয়।
  • কপিরাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং রাইটিংঃ বর্তমান সময়ে কপিরাইটিং এবং ফ্রিল্যান্সিং রাইটিং এর চাহিদা অপরিসীম। এই কাজটি মূলত লেখালেখি করার কাজ। এখানে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্লগ, আর্টিকেল, বই রিসার্চ, ই-বুক, প্রেস রিলিজ, মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন ইত্যাদি বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে হয়। এক্ষেত্রে আপনার অবশ্যই সৃজনশীল ও দক্ষতা এবং সঠিক সময়ে লেখা শেষ করার ক্ষমতা থাকতে হবে।
  • কোডিং, প্রোগ্রামিং, ডেভলপিংঃ বর্তমান বিশ্বে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন পেশা গুলোর মধ্যে এই তিনটি অন্যতম। এই তিনটি সেক্টরে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ যেমন- html, java, ruby, java script ইত্যাদি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে, ড্রিমউইভার .NETএবং java জাতীয় সফটওয়্যার tools সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে এবং ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডেভেলপিং জানতে হবে। 
  • গ্রাফিক্স ডিজানিংঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। এটির মাধ্যমে আপনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সৃজনশীল হতে হবে এবং কারুশিল্প সম্পর্কে জানতে হবে।
  • ফ্রিল্যান্স সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারঃ ফ্রিল্যান্স সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের কাজ হলো- তার ক্লায়েন্টদের সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল তৈরি করা এবং তা বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
  • মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্টঃ মোবাইল অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আপনাকে অবশ্যই কোডিং ল্যাঙ্গুয়েজ জাভা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে। এখানে আপনার কাজ মূলত আপনার ক্লায়েন্টদের এন্ড্রয়েড ডিজাইন করে দেওয়া। এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আগ্রহী হতে হবে এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর উপর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিসটিংঃ ভার্চুয়াল অ্যাসিসটিং এর কাজ মূলত চ্যাট সাপোর্ট দেওয়া, ইমেইলের উত্তর দেওয়া, যোগাযোগ পরিচালনা করা, অনুসন্ধান করা, নিয়োগকর্তার মিটিং নির্ধারণ করা, সময়সূচী পরিচালনা করা ইত্যাদি। এই কাজটি করতে আপনাকে অবশ্যই বেসিক রাইটিং এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের ধরনের ওপর জ্ঞান থাকতে হবে।
  • বুককিপিং বা হিসাবরক্ষকঃ ফ্রিল্যান্সিং এর এই সাইটটিতে যারা একাউন্টিং এর পেশাতে আগ্রহী তারা আবেদন করতে পারেন। এখানে কাজ করার জন্য আপনার অবশ্যই এক্সেল, ট্যাক্স আইন, বুককিপিং এবং একাউন্টিং সফটওয়্যার সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকতে হবে।

উপরে উল্লেখিত পয়েন্ট গুলো ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিংয়ের জগতে আরো অনেক ক্ষেত্রে আছে। যেখানে আপনি কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ কি

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ মূলত ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহার করে ঘরে বসে বিভিন্ন ক্লায়েন্টদের কাজ করে দেওয়া মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং জগতে অসংখ্য কাজ রয়েছে। তার মধ্য জনপ্রিয় ৫টি কাজ নিচে দেয়া হলো-

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • ওয়েব ও গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)  
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ

ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটি বিশাল বড় অনলাইন জগত। তাই এর অসংখ্য কাজের সাইট রয়েছে। নিচে কিছু কাজের নাম দেওয়া হলো-

  • 3D Artist
  • Accountant
  • Architect
  • Article Writer
  • Blog Writer
  • App Developer
  • Book Designer
  • Business Analyst
  • Academic Writer
  • Business Writer
  • C Programmer
  • Advertising Copywriter
  • Comic Artist
  • Bookkeeper
  • Commercial Writer
  • Computer Programmer
  • Book Editor
  • CAD Designer
  • Copyeditor
  • Drupal, PHP, WordPress Developer
  • Concept Artist
  • Electrical Engineer
  • Fashion Designer
  • Creative Director
  • Copywriter
  • Film Editor
  • Flash Designer
  • Game Developer
  • Grant Writer
  • Fashion Stylist
  • Interpreter
  • Fiction Editor
  • Graphic Designer
  • Interior Designer
  • Legal Writer
  • Marketing Consultant
  • IT Consultant
  • Media Buyer
  • Magazine Writer
  • Medical Editor
  • Logo Designer
  • Medical Transcription
  • Product Designer
  • Motion Graphics
  • Project Manager
  • Personal Assistant
  • Science Writer
  • Photo Editor
  • Software Developer
  • Public Relations
  • Sports Writer
  • SEO Consultant
  • Video Editor
  • Textile Designer
  • Tech Support
  • Virtual Assistant
  • Web Designer/Developer
  • Visual Merchandiser

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলতে এমন একটি অনলাইন ওয়েবসাইটকে বোঝায় যেখানে ফ্রিল্যান্সার এবং ক্লায়েন্টরা কানেক্টেড হতে পারে। এই ওয়েবসাইটটিতে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের স্যাম্পল দিয়ে প্রোফাইল তৈরি করে এবং ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ৫টি ব্যবহার

ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্টদের বিজ্ঞপ্তি দেখে কাজের জন্য আবেদন করেন এবং তিনি যদি সেই কাজের জন্য যোগ্য হন তাহলে কাজ পান। এখানে কাজ করে আপনি যেকোনো দেশের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট নিতে পারবেন। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর মার্কেটপ্লেস গুলোকে বলা হয় “ক্লায়েন্ট ও ফ্রিল্যান্সারের মিলনমেলা”। তাই নিচে কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর প্ল্যাটফর্মের নাম দেওয়া হলো-

  • আপওয়ার্ক (Upwork)
  • ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)
  • ফাইভার (Fiverr)
  • নাইনটি নাইন ডিজাইনস (99designs)
  • পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)
  • বিল্যান্সার (Belancer)
  • গুরু ডটকম (Guru.com)

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের কাজ চুক্তির ভিত্তিতে করে দেয়ার নাম হলো ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। দৈনন্দিন বা বাস্তবসম্মত কাজের সাথে যেমন হালাল ও হারামের বিষয়টি জড়িত তেমনি অনলাইন জগতে কাজের সাথেও হালাল-হারাম বিষয়টি গভীরভাবে জড়িত। 

ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা কখনো বৈধ, আবার কখনো অবৈধ যেটি সম্পূর্ণ আপনি কি কাজ করবেন তার উপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষণীয় সেটি হলো- আপনি যদি এমন কাজ করেন, যেটা শরীয়তে হালাল বলে উল্লেখ আছে, যেখানে হারামের স্পর্শ নেই তাহলে সে অর্থ হালাল, সেই কাজ থেকে অর্থ উপার্জনও হালাল। 

আর আপনি যদি এমন কাজ করেন যেটি শরীয়তে উল্লেখ নেই যেখানে হারামের স্পর্শ আছে। তাহলে সেই অর্থ হারাম সেই কাজ থেকে উপার্জিত অর্থও হারাম। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর হালাল ও হারাম বিষয়টি সম্পূর্ণ আপনার কাজের উপর নির্ভরশীল।

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে

ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেকগুলো সেক্টরে কাজ করা যায়। সেই সেক্টরগুলোর ডিমান্ডও আবার আলাদা আলাদা। ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা লাগে এ প্রশ্নটি অনেকেই করে থাকেন। 

এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কত টাকা খরচ হবে এটি সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করে। আপনি যদি দেশের নামিদামি কোন আইটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করেন। তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার খরচ বেশি হবে। আর আপনি যদি একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নামিদামি কোন ভালো আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করা উচিত। 

ফ্রিল্যান্সিং শেখার যে খরচ সেটি মূলত আপনি কোন ধরনের কাজ শিখবেন তার ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি কোন নামিদামি আইটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনি, ওয়েব ডেভেলপিং, শেখেন তাহলে আপনার ৫০০০০ টাকার মতো খরচ হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি আমাদের সবার একটি পরিচিত শব্দ। আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে অবশ্যই দুইটি বিষয় সবসময় মাথায় রাখতে হবে। 

প্রথমত, ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু একটি পেশা তাই এখানে আপনার কিছু বিশেষ কাজের উপর দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকাটা জরুরী। এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু সাইট যেমন- ডিজিটাল মার্কেটিং, কন্টেন্ট রাইটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাপস ডেভলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনি ইত্যাদি বিষয়ের উপর সম্পূর্ণ জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এতে করে ভবিষ্যতে আপনি প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র, আপনার ওই কাজগুলো জানা থাকলেই আপনি সফলভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবেননা। এক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার জন্য আপনাকে নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো অবশ্যই জানতে হবে-

  • কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয় 
  • সেরা ফ্রিল্যান্সিং সাইড কোনগুলো 
  • কিভাবে অনলাইনে কাজ খুজতে হয় 
  • সঠিকভাবে কাজ করার বিভিন্ন নিয়ম 
  • ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার বিভিন্ন কৌশল 
  • কিভাবে নিজেকে একজন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তৈরি করবেন ইত্যাদি

ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলোর উপর জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এখন এই জ্ঞান অর্জন করার জন্য আপনি বিভিন্ন ওয়েবসাইট যেমন- Google search, YouTube, Udemy, lynda.com, khanacademy.org। এই গুলো প্লাটফর্ম থেকে আপনি খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখতে পারবেন। 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান। তাহলে সবার আগে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের যে কোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এখন এই দক্ষতা অর্জন করার জন্য আপনি বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- 

  • ইউটিউব এর মাধ্যমেঃ বর্তমানে বিশ্বে অনেক ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে যেখানে ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড বিষয়গুলো সুন্দরভাবে আলোচনা করা হয়। আপনি চাইলে এখান থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ব্লগার সাইট থেকেঃ বর্তমানে গুগলের অনেক ব্লগার সাইট রয়েছে। যেখান থেকে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগুলো খুব সহজেই শিখে নিতে পারবেন।
  • পেইড কোর্সের মাধ্যমেঃ বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থের বিনিময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শেখায়। আপনি চাইলে সেখান থেকেও কাজ শিখতে পারেন।

মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি প্রতি মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমানে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জনের করার কিছু জনপ্রিয় সাইট নিচে দেওয়া হলো- 

  • আপওয়ার্ক (Upwork)
  • ফাইভার (Fiverr)
  • ফ্রিল্যান্সার ডট কম (Freelancer.com)

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি

বর্তমান বিশ্বে সকল জনপ্রিয় পেশাগুলোর মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং অন্যতম। যারা নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায়, তারা অনেকেই জানতে চান, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন? ফ্রিল্যান্সিং শিখলে আমার ক্যারিয়ার কেমন হবে ইত্যাদি। এই প্রশ্নগুলোর উত্তরে, এক কথায় বলতে গেলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অনেক ভালো। 

আরও পড়ুনঃ মোবাইল ফোন ব্যবহারের সুফল ও কুফল 

ফ্রিল্যান্সিং পেশা নিয়ে অনেকে অনেক নেতিবাচক ধারণা প্রকাশ করে যেমন- ফ্রিল্যান্সিং এর আয়ের কোন নিশ্চয়তা নাই, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার ইত্যাদি এরকম অনেক ধরনের কথা বলে থাকে। আসলে সত্যি বলতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের এমন খারাপ কোন দিক নাই। ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি স্বাধীন পেশা। যেখানে আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামত কাজ করতে পারবেন। 

এছাড়া বর্তমানে এখন আমরা সবাই অনলাইন মুখি হয়ে যাচ্ছি। এখন পৃথিবীর প্রায় সব বড় বড় কোম্পানিগুলো আজ ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। আর ফ্রিল্যান্সিং যেহেতু ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত তাই ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা যত বাড়বে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ তত ভালো হবে। 

এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করার অন্যতম একটি সুবিধা হলো- এখানে আপনি ঘরে বসেই কাজ করতে পারবেন এবং দেশের ভিতরে যদি কোন গন্ডগোল হয়েও যায় তারপরেও আপনার কাজের কোন সমস্যা হবে না যদি আপনার ইন্টারনেট সংযোগ থাকে। 

সুতরাং, এক কথায় বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল এবং এর সম্ভাবনা দিন দিন বেড়েই চলছে। আমাদের দেশের আইসিটি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি।

উপসংহার

প্রিয় পাঠকগণ, আশা করি আপনারা উপরের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়েছেন এবং ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন। এই পোস্টটিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। 

আপনি এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কিন্তু কাজ পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। এরকম আরো সুন্দর সুন্দর পোস্ট পড়তে চাইলে নিয়মিত এই ব্লগার মামুন ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
1 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Unknown
    Unknown February 16, 2024 at 6:34 PM

    ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন, কোন বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন – ফ্রিল্যান্সিং এর সমস্ত তথ্য

Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url