টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা জানুন

টাইফয়েড জ্বর হলো একটি পানিবাহিত ও ব্যাকটেরিয়া জাতীয় রোগ । যদি দ্রুত এই রোগের চিকিৎসা করানো না হয় তাহলে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির মারাত্মক ক্ষতি ঘটতে পারে। তাই চলুন টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ, টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ, টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই এই আর্টিকেলটি থেকে।

টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে
আপনি কি টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। এছাড়াও এই আর্টিকেলটি থেকে আপনি আরো জানতে পারবেন টাইফয়েড জ্বর কি, টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ, টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কেও। তাই আর দেরি না করে এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

টাইফয়েড জ্বর কি

টাইফয়েড জ্বর হলো এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ঘটিত পানিবাহিত রোগ। দূষিত খাদ্য, পানি এবং দুধের মাধ্যমে স্যালমোনেলা টাইফি এ এবং বি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে মানবদেহের যে রোগ ছড়ায় তাকে সাধারণভাবে টাইফয়েড জ্বর বলা যায়। সাধারণত মানব দেহে খাদ্যনালীতে এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত করলে এই জ্বর হয়ে থাকে। এই জ্বর নানান কারণে হতে পারে। যেগুলো আমরা নিজে আলোচনা করবো।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে পাইলস ভালো হয়

একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ১১ থেকে ২১ মিলিয়ন মানুষ এই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। এবং তাদের মধ্যে প্রতি বছর মারা যায় প্রায় ২ লাখেরও বেশি মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশের এই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। আশা করছি আপনারা টাইফয়েড জ্বর কি তা বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ ও লক্ষণ এবং টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।

টাইফয়েড রোগের জীবাণুর নাম কি?

আপনারা অনেকেই গুগল এবং অন্যান্য ওয়েব সাইটে জানতে চেয়েছেন যে টাইফয়েড রোগের জীবাণুর নাম কি? আসলে প্রত্যেকটি রোগই সংক্রমিত হওয়ার মূলে একটি জীবাণু থাকে। যে জীবাণুগুলোকে আমরা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি সব নামগুলোতে চিনি। অন্যন্যা রোগের মতো টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পিছনেও একটি জীবাণু রয়েছে। যেই জীবাণুটিকে চিকিৎসকেরা সালমোনেলা টাইফি A and B নামে নামকরণ করেছে। মূলত এই জীবাণুটির কারণেই মানবদেহে টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। 

তবে এই জ্বর হওয়ার পিছনে আরো অনেক কারণ রয়েছে যেগুলো নিচে তুলে ধরা হয়েছে। আপনি যদি সেই কারণগুলো ও টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ করতে হবে। এছাড়াও এই পোস্টটি সম্পূর্ণ করার মাধ্যমে আপনি আরো জানতে পারবেন টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই আর্টিকেলটি অবহেলা না করে পড়তে থাকুন আশা করি উপকৃত হবেন।

টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ কি?

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে এই পোস্টটি থেকে আমরা টাইফয়েড জ্বর হওয়ার কারণ গুলো জেনে নিন। টাইফয়েড জ্বর হওয়ার মূল কারণ হলো সালমোনেলা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়ার কারণেই মূলত টাইফয়েড জ্বর হয়। সাধারণত দূষিত পানি ও দূষিত খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়া দুটি মানবদেহে প্রবেশ করে। এবং তার থেকেই শুরু হয় টাইফয়েড নামক জ্বর। এই টাইফয়েড জ্বর আরো বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। যেমন-

আরো পড়ুনঃ পুরাতন আমাশয় এর লক্ষণ গুলো

  • টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর মলের মাধ্যমে এই রোগ ছড়াতে পারে।
  • অপরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের মাধ্যমে এই টাইফয়েড জ্বর হতে পারে।
  • সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে হাত ভালোভাবে না পরিষ্কার করলে।
  • অপরিচ্ছন্নতা ও ঘনবসতি আছে এমন জায়গায় বসবাস করলে।
  • কম সিদ্ধ করা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে।
  • যেসব এলাকায় এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি সেসব এলাকায় ভ্রমণ করলে।
  • দূষিত দুধ জাতীয় পণ্য সেবন করলে ইত্যাদি। 

উপরে উল্লিখিত কারণ গুলোর মধ্যে টাইফয়েড জ্বর হওয়ার মূল কারণ হলো সালমোনেলা টাইফি এবং সালমোনেলা প্যারাটাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া। এবং দূষিত খাবার ও পানি গ্রহণ করা। আশা করছি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন চলুন আমরা টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ ও টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এবং টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা এই প্রশ্নগুলো উত্তর জেনে নেই।

টাইফয়েডের লক্ষণ কিভাবে শুরু হয়

আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন টাইফয়েড রোগের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে টাইফয়েড রোগের লক্ষণ গুলো জেনে নেই। টাইফয়েড এমন একটি রোগ যে রোগে আক্রান্ত হলে সহজেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় না। এই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বেশ কিছুদিন পর্যন্ত এই রোগের স্পষ্ট কোন লক্ষণ পাওয়া যায় না। তবে শুরুর দিকে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি মধ্য চাপা অস্বস্তি, ঝিমঝিম ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা করা ইত্যাদি সমস্যা গুলো দেখা দেয় আর জ্বর একটু বেশি হয়।

আমাদের মাঝে যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা এইচআইভি পজেটিভ ও এইডস রোগে আক্রান্ত আছে তাদের এই টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়াও যে সকল অঞ্চলের টাইফয়েড রোগের সংখ্যা বেশি সে সকল অঞ্চলে চলাফেরা করলে টাইফয়েড হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে টাইফয়েড হয়েছে কিনা এটি কিভাবে বুঝবেন? এটি বোঝার জন্য আপনাকে এই রোগের লক্ষণ গুলো জানতে হবে। চলুন তাহলে টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণগুলো জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

টাইফয়েড রোগের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। এক্ষেত্রে প্রচন্ড জ্বর হতে পারে সাধারণত ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর চেয়ে চেয়ে বেশি মাত্রায় জ্বর হবে। এবং এই জ্বর উঠানামা করবে কিন্তু স্বাভাবিক হবে না। এছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ রয়েছে যেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।

  • মাথা ব্যথা ও সেই সাথে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রচন্ড ব্যথা হবে।
  • মাথা সব সময় ভারী হয়ে আসবে।
  • ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেবে।
  • শারীরিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • শরীরে অলসতা বৃদ্ধি পাবে।
  • বমি বমি ভাব অথবা বমি হবে।
  • প্রচণ্ড পেটে ব্যথা হবে।
  • প্রচন্ড কাশি বা কফ হবে।
  • খাওয়ার ইচ্ছা কমে যাবে বা ক্ষুধামন্দা দেখা দেবে।
  • আশেপাশের কোন কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা।
  • অন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া।
  • নাক দিয়ে রক্ত পড়া।
  • হৃদস্পন্দন বা হার্টবিট কমে যাওয়া।
  • এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার দ্বিতীয় সপ্তাহে রোগীর পেটে ও পিঠে গোলাপি রঙের দানা দেখা দেওয়া।
  • খাবার হজম করতে সমস্যা হবে ইত্যাদি।

উপরের উল্লিখিত লক্ষণগুলো যদি আপনি আপনার মাঝে দেখতে পান তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। কেননা, এই লক্ষণগুলো টাইফয়েড জ্বর নির্দেশ করে। আর এই জ্বরটি হলে সচেতন হওয়া খুবই দরকার। কারণ এই জ্বরে আপনার মৃত্যু হতে পারে। এখন চলুন জেনে নেই টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা এই সম্পর্কে।

টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে

আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা জানে না টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এই সম্পর্কে। তাই আজকের এই আর্টিকেলটির এই অংশে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এই সম্পর্কে। টাইফয়েড অন্যান্য জ্বরের মতো সাধারণ কোন জ্বর নয়। এটি এমন একটি জ্বর যার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় এই জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ৭ থেকে ১৪ দিন পর। তাও স্পষ্টভাবে লক্ষণগুলো বোঝা যায় না। এখন প্রশ্ন হচ্ছে টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে? এই জ্বর টি কতদিন থাকবে না থাকবে একটি সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার চিকিৎসার উপরে।  আপনি যদি এই রোগের জন্য উন্নত মানের চিকিৎসা করেন। 

আরো পড়ুনঃ ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ ২০ খাবার তালিকা

তাহলে এই রোগটি আপনার শরীরে খুবই কম সময়ের জন্য থাকবে। যেমন ধরেন ৫ থেকে ৭ দিনের জন্য থাকবে। আর যদি আপনি এই জোরে প্রথম সংক্রমিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার শরীরে ১২ মাস পর্যন্ত এই রোগের ব্যাকটেরিয়া বেশি থাকতে পারে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। এবং ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে ফ্ল্যাশ আউট করার জন্য আপনাকে এন্টিবায়োটিক আরো ২৮ দিনের কোর্স করতে হবে। আর হ্যাঁ এটি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করতে হবে। আশা করছি আপনাদেরকে বোঝাতে পেরেছি টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে এই সম্পর্কে। এখন চলুন টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে কিনা এবং টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা এই সম্পর্কে জেনে নিন।

টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন যে টাইফয়েড জ্বর কি ছোঁয়াচে কিনা। উত্তর হলো হ্যাঁ, টাইফয়েড জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগটি সংক্রমিত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্য ব্যক্তি শরীরে ছড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয় এবং সেই ব্যক্তির আশেপাশে যদি একজন সুস্থ মানুষ ঘোরাফেরা বা চলাফেরা করে তাহলে সে সুস্থ ব্যক্তির টাইফয়েডে আক্রান্ত হবে। এই টাইফয়েড জ্বর বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে একজনের মাধ্যমে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। যেমন-

  • আক্রান্ত রোগীর মলমূত্র, শরীর ধোয়া পানির মাধ্যমে।
  • আক্রান্ত রোগীর পোশাক ব্যবহার করলে।
  • আক্রান্ত রোগীর স্পর্শকৃত খাবার অন্যজন সেবন করলে।
  • আক্রান্ত রোগীর লোম বাতাসের মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির শরীরে স্পর্শ করলে ইত্যাদি।

মোটকথা হলো, টাইফয়েড জ্বর একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই সবসময় এই রোগ থেকে সচেতন থাকবেন। এবং এই রোগের লক্ষণ গুলো দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। এখন চলুন টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা তা জেনে নেই। সেই সাথে টাইফয়েড জ্বর হলে কি চুল পড়ে যায় এই প্রশ্নের উত্তরও জানবো।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি চুল পড়ে যায়?

আপনাদের অনেকেই প্রশ্ন টাইফয়েড জ্বর হলে কি চুল পড়ে যায়? উত্তর হলো হ্যাঁ, টাইফয়েড জ্বর হলে চুল পড়ে যায়। কারণ টাইফয়েড জ্বর হলে রোগীকে হাই পাওয়ার সমৃদ্ধ এন্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করানো হয়। যার ফলে মাথার ঝরে যায়। আপনি কি স্বাভাবিক। কারণ এন্টিবায়োটিক ওষুধের পাওয়ার অনেক বেশি থাকে। যা চুলের পুষ্টিগুণতা নষ্ট করে দেয়। যার কারণে টাইফয়েড জ্বর হলে চুল পড়ে যায়। তবে এই জ্বর ঠিক হয়ে গেলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে যায়। আশা করছি আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন। এখন চলুন টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় কিনা তা জেনে।

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায়

টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে যদি আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইটিতে এসে থাকেন। তাহলে অবশ্যই সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এই প্রশ্নের উত্তরটি।

আমাদের মাঝে অনেকেরই ধারণা যে জ্বর হলে গোসল করা যাবে না। আসলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। জ্বর হলে স্বাভাবিকভাবে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।আর গোসল করলে এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনা যায়। আর যেহেতু টাইফয়েড জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা অত্যাধিক হারে বৃদ্ধি পায় তাই গোসল করলে এই তাপমাত্রা কমিয়ে আনা সম্ভব, যার ফলে টাইফয়েড জ্বরের প্রভাব বিস্তার 

আরো পড়ুনঃ পিত্তথলির পাথর দূর করার ঘরোয়া উপায়

অনেকটা কমে যাবে। তবে গোসলটা অবশ্যই স্বাভাবিক মাত্রায় হতে হবে। আবার বেশি গোসল করা যাবে না। তবে টাইফয়েড জ্বরের জন্য গোসলের বিকল্প হিসেবে আপনারা জলপট্টি ও মাথায় পানি ঢালতে পারেন। এটি অনেক জনপ্রিয় পদ্ধতি এবং এটি খুবই কার্যকারীও বটে। আশা করছি আপনারা টাইফয়েড জ্বর হলে কি গোসল করা যায় এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন। 

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে টাইফয়েড জ্বর কতদিন থাকে ও টাইফয়েড জ্বর হলে গোসল করা যায় কিনা এবং টাইফয়েড জ্বরের ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আমাদের এই পোস্টটি ওই সকল ব্যক্তিদের জন্য বেশি উপকারী হবে যারা ইতিমধ্যে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে অথবা যাদের পরিবারের কেউ টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে তারা। আর বর্তমানে বাংলাদেশের টাইফয়েডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। 

তাই আমাদের সকলেরই সবসময় সচেতন থাকা উচিত। কারণ অনেক সময় সাধারণ রোগই অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। আশা করছি এই পোস্টটি করে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। আর একটা কথা টাইফয়েড জ্বর হলে অবশ্যই অবহেলা না করে ভালো একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা নেবেন।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url