পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি ঘরোয়া উপায়ে ফোড়া দূর করুন

বর্তমানে ফোড়া যেন সকলের একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে ফোড়া খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ। এই ফোড়া যার হয় সেই আসলে বোঝে এর কি জ্বালা। অনেকেই জানতে চাই যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি, ঘরোয়া উপায় কিভাবে এই ফোড়া দূর করব এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাই এই পোস্টটিতে আমরা পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া ৫ উপায়ে কিভাবে ফোড়া দূর করবেন এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি
আপনারা যারা পাছায় ফোড়া নিয়ে সমস্যায় আছেন? বুঝতে পারছেন না যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি, কিভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ফোড়া দূর করবেন, তাদের জন্যই মূলত এই পোস্টটি। তাই পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ফোড়া শক্ত হলে করণীয় - পাছায় ফোড়া হলে করণীয়

ফোড়া এমন একটি জিনিস যা শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। বিশেষ করে ফোড়া সবচেয়ে বেশি হয় মুখে, মাথায়, বগলের নিচে, কুঁচকিতে, পাছায় ইত্যাদি সব জায়গায় হয়। ফোড়া এমন একটি রোগ যা আপনার শরীরের এমন এমন জায়গায় হবে তার কথা আপনাকে বলতেও পারবেন না আবার সইতেও পারবেন না। আমাদের মাঝে অনেকের পাছায় ফোড়া হয়। এক্ষেত্রে যাদের পাছায় ফোড়া হয় তাদের অবশ্যই জানা উচিত পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ ফোড়া হওয়ার কারণ কি জেনে নিন

যা এই প্রশ্নটি সম্পূর্ণ পড়ার মাধ্যমে জানতে পারবে। আমাদের মাঝে অনেকে আছে যাদের শরীরে ফোড়া হয়। তবে সেই ফোড়া সহজে ঠিক হয়ে যায় না। অনেক সময় সেই পড়া শক্ত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে করণীয় কি বিষয়টি জানা দরকার। কারণ ফোড়া শক্ত হলে অনেক ব্যথা ও যন্ত্রণা হয়। যা সহ্য করার মত নয়। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ফোড়া শক্ত হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে আলোচনা করেছি। ফোড়া শক্ত হলে যা করতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো।

হলুদের ব্যবহারঃ

আপনার ফোড়া শক্ত হলে সেই ফোড়া গলানোর জন্য আপনি হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি নামক উপাদান যা শরীরের রক্ত বিশুদ্ধকরণ করে এবং ফোড়া কে সহজে গলিয়ে দিতে পারে। তাই আপনার ফোড়া শক্ত হলে আপনি এক চামচ পরিমাণ হলুদ গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন করতে পারেন আর যদি আপনি সেবন করতে না পারেন তাহলে হলুদের পেস্ট তৈরি করে ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিন। এভাবে দিনে তিন বার সেবন অথবা ফোড়ার উপর পেস্টটি লাগিয়ে দিন। তাহলে সহজেই আপনার শক্ত ফোড়া গলে যাবে।

ক্যাস্টর অয়েল তেল ব্যবহারঃ

এই তেল সাধারণত মাথার চুল ঘন করতে ব্যবহার করা হয়। তবে আপনারা শক্ত ফোড়া গলানোর জন্য এই তেল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এই তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি নামক উপাদান। যা শক্ত করা ফোড়া দ্রুত গলিয়ে ফেলতে পারে। এই তেল যেমনি ফোড়ার ব্যাথা দূর করে তেমনি ফোড়াকে দ্রুত গলিয়ে ফেলতে পারে। তাই ফোড়া শক্ত হলে এই তেল ব্যবহার করুন। এই তেল শুধুমাত্র ফোড়ার উপর দিনে কয়েকবার লাগিয়ে দিবেন। অনেক সময় অনেকে প্রশ্ন করে যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি। এক্ষেত্রে আপনারা কিন্তু এই পদ্ধতিটি ইউজ করতে পারেন। কারণ এটি যেহেতু তেল যেহেতু আপনি পাছায় সহজে লাগিয়ে রাখতে পারবেন। 

পান পাতার ব্যবহারঃ

পান পাতা শক্ত ফোড়া দূর করতে খুবই সহায়ক। অনেকেই পান পাতার ব্যবহার জানেনা। যার ফলে তারা শক্ত ফোড়া দূর করার জন্য অনেক ধরনের চিকিৎসা করে। কিন্তু আপনি খুব সহজেই পান পাতা ব্যবহার করে স্বল্প খরচে শক্ত ফোড়া দূর করতে পারবেন। পান পাতা ব্যবহার করার ক্ষেত্রে একটি পান পাতা নিবেন তারপর সেই পান পাতা সোজা পিঠে পরিমাণ মতো ঘি মাখিয়ে নেবেন। তারপর সেই পাতাটি হালকা গরম করে ফোড়ার উপর লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ফোড়া গোলে ফেটে যাবে।

বট গাছের কচি পাতার ব্যবহারঃ

অনেক সময় দেখা যায় ফোড়া শরীরের খুবই নরম জায়গাতে হয়। এক্ষেত্রে সেই ফোড়া দূর করার জন্য আপনারা বট গাছের কচি পাতা ব্যবহার করতে পারেন। বট গাছের কচি পাতা শক্ত করা বসিয়ে দিতে প্রচুর ভূমিকা রাখে। ব্যবহার করার নিয়ম হলোঃ প্রথমে বট গাছের কিছু কচি পাতা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই পাতাগুলো ভালোভাবে পাটায় পিষে একটি পেস্ট তৈরি করে নেবেন। তারপর সেই পেস্ট ফোড়ার উপর লাগিয়ে দেবেন। তাহলে কিছুদিনের মধ্যেই দেখবেন আপনার ফোড়া হয় বসে গেছে আর না হয় গলে গেছে। আবার অনেক সময় অনেকে প্রশ্ন করে যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনারা এই পদ্ধতি ইউজ করতে পারেন।

মসুর ডালের ব্যবহারঃ

অনেক সময় দেখা যায় যে ফোড়া পেকে গেছে কিন্তু সহজে ফাটছে না। এক্ষেত্রে অনেকেই কেটে চিকিৎসা করে। কিন্তু এই সময় আপনি খুব সহজেই মসুর ডাল ব্যবহার করে এই ফোড়া গলিয়ে বা ফেটে ফেলতে পারবেন। মসুর ডাল সাধারণত এই ধরনের ফোড়া দূর করতে খুবই সহায়ক। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো মসুর ডাল নিয়ে তা পাটায় বেটে কিছু পেস্ট তৈরি করে নেবেন। তারপর সেই পেস্ট দিনে কয়েকবার ফোড়ার উপর ভালোভাবে লাগিয়ে দেবেন। দেখবেন দুই দিনের মধ্যেই আপনার ফোড়া ফেটে যাবে ইত্যাদি।

আরো পড়ুনঃ দাঁত তোলার পর ফোড়া হলে কি হয় জেনে নিন

আশা করছি আপনারা ফোড়া শক্ত হলে কি করতে হবে এই বিষয়টি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। এখন আপনারা যদি জানতে চান যে পাছাই করা হলে কি করবেন বা পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি সে ক্ষেত্রে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

ঘরোয়া উপায়ে ফোড়া দূর করার ৫ উপায়

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা দেখবেন ফোড়া হলে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে যায়। সেখানে গেলে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা দেয় তারপর অনেক ধরনের ওষুধ দেয়। তারপর দেখবেন অনেক সময় তারা সেই ফোড়া কাটতে বলে এবং কেটে বের করে দেয়। এক্ষেত্রে যেমন আপনার অর্থ খরচ হবে তেমনি অনেক সময়ও লাগবে সেই কাটা শুকাতে। 

কিন্তু এক্ষেত্রে আপনি যদি কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ইউজ করেন। তাহলে কিন্তু খুব সহজেই এই ফোড়া থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আবার অনেকে প্রশ্ন করে যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি। এক্ষেত্রেও কিন্তু আপনারা এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনেক সময় পাছায় ফোড়া হলে লজ্জায় অনেকে চিকিৎসার কাছে যায় না। 

এক্ষেত্রে তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন। চলুন তাহলে আমরা নিচে থেকে ঘরোয়া পদ্ধতিতে পোড়া দূর করার কিছু উপায় জেনে নেই। এবং পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে পরের তারা থেকে জানবো পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে।

অ্যালোভেরা ব্যবহার করে ফোড়া দূর করুন

আমাদের মাঝে অনেকেই ফোড়াকে খুবই সাধারণ হিসেবে দেখে। কিন্তু একটি যতটা সাধারণ ভাবেছেন ততটা কিন্তু সাধারণ না। এই ফোড়া শরীরের এমন এমন জায়গায় হয় যার কথা আপনি কাউকে বলতেও পারবেন না আবার সইতেও পারবেন না। তাইতো অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি। এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিচে থেকে জানতে পারবেন। এখন চলুন জেনে নেই অ্যালোভেরা ব্যবহার করে কিভাবে খোলা দূর করবে এই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ কোমরে ফোঁড়ার চিকিৎসা কিভাবে করবেন

অ্যালোভেরা খুবই উপকারী একটি উপাদান। এই উপাদানটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে ফোড়া দূর করার ক্ষেত্রেও এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে অ্যালোভেরা আবার কিভাবে ফোড়ার জন্য ব্যবহার করবো। এক্ষেত্রে প্রথমে কিছু অ্যালোভেরা সংগ্রহ করবেন। তারপর সেই অ্যালোভেরাটি পিস পিস করে কেটে নেবেন। তারপর সেই অ্যালোভেরার পিস গুলো ভালোভাবে পিষে নেবেন তারপর তার সাথে কিছু পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নেবেন।

এরপর আপনার শরীরে যে স্থানে ফোড়া হয়েছে সেই স্থানে প্রতিদিন বা দিনে দুইবার ভালোভাবে লাগিয়ে দিবেন। তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ফোড়া সেরে যাবে। এখন যদি পাছায় ফোড়া করা হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

বেকিং সোডা ব্যবহার করে ফোড়া দূর করুন

বেকিং সোডা ব্যবহার করে আপনি খুব সহজেই ফোড়া দূর করতে পারেন। বেকিং সোডা ফোড়া দূর করতে খুবই সহায়ক। এক্ষেত্রে বেকিং সোডা কিভাবে ব্যবহার করবেন এটি জানা দরকার। প্রথমে কিছু পরিমাণে বেকিং সোডা নেবেন তারপর পরিমাণ মতো লবণ নেবে। এরপর পরিমাণ মত পানি নিয়ে বেকিং সোডা এবং লবণ আর পানি একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরী করে নেবেন। 

তারপর আপনার শরীরের যে স্থানে ফোড়া হয়েছে সেই স্থানে এই পেস্টটি আধঘন্টা লাগিয়ে রাখুন।  পেস্টটি লাগানোর আধঘন্টা পর পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এভাবে অল্প কিছুদিন যদি আপনি এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন বা বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। তাহলে খুব সহজেই আপনি শরীর থেকে ফোড়া দূর করতে পারেন। কারণ বেকিং সোডার মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক নামক উপাদান যা ফোড়া দূর করতে প্রচুর ভূমিকা পালন করে।

তুলসী পাতার ব্যবহার করে ফোড়া দূর করুন

আমরা অনেকেই তুলসী পাতা শুধু ঠান্ডা জ্বরের জন্য ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই জানে না তুলসী পাতা ফোড়া দূর করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তুলসী পাতাতে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল নামক উপাদান ফোড়া দূর করতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হতে পারে যে তাহলে তুলসী পাতা কিভাবে ব্যবহার করব।

এর জন্য আপনাকে প্রথমে কিছু তুলসী পাতা গাছ থেকে তুলে আনতে হবে। তারপর সেই তুলসী পাতাগুলো ভালোভাবে বেটে একটি পেস্ট তৈরি করতে হবে। তারপর সেই পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। কমপক্ষে এক ঘন্টা আক্রান্ত স্থানে তুলসী পাতার পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে দিনে দুবার লাগালে খুব সহজেই ফোড়া থেকে মুক্তি পাবে। পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন

নিম পাতার ব্যবহার করে ফোড়া দূর করুন

নিম পাতা, যার গুণাবলী সম্পর্কে প্রায় আমরা সবাই জানি। নিম পাতা অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে এই পাতা ফোড়া নিরাময়েও অনেক ভূমিকা রাখে। নিম পাতা ত্বকের যত্নে যেমন উপকারী তেমনি ফোড়া দূর করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিম পাতাতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং এন্টিভাইরাল নামক উপাদান। যা ফোড়া দূর করতে খুবই উপকারী।

আরো পড়ুনঃ দাউদ এর লক্ষণ

নিম পাতা ফোড়া দূর করতে কিভাবে ব্যবহার করবেনঃ প্রথমে পরিমাণ মতো নিমপাতা নিয়ে নিন তারপর সেই পাতাগুলো ভালোভাবে পিষে নিন। তারপর সেটি দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর সেই পেস্টটি ফোড়ার উপরে ভালোভাবে লাগিয়ে দিন। এভাবে কমপক্ষে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুব সহজে ফোড়া থেকে আপনার মুক্তি পাবেন। এখন পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে পড়তে থাকুন।

কালোজিরা ব্যবহার করে ফোড়া দূর করুন

কালোজিরা এর উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কালোজিরা যেমনি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে তেমনি ফোড়া দূর করতেও প্রচুর ভূমিকা রাখে। কালোজিরাতে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গুণাবলী থাকে যা ফোড়ার ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। তাই আপনারা চাইলে ফোড়া দূর করার জন্য কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন। প্রশ্ন হতে পারে যে ফোড়া দূর করার জন্য কালোজিরা কিভাবে ব্যবহার করবেন।

এক্ষেত্রে কিছু পরিমাণ মতো কালোজিরা নেবেন তারপর সেই কালোজিরা গুলো ভালোভাবে পিষে একটি পেস্ট তৈরি করবেন। তারপর সেই পেস্টটি ফোড়ার ওপর ভালোভাবে লাগিয়ে নেবেন। এছাড়াও আপনি কালোজিরার তেল ফোড়ার উপর লাগাতে পারেন। আবার ঠান্ডা অথবা গরম পানির সাথে আধা চামচ পরিমাণ কালোজিরার তেল মিশিয়ে পান করতেও পারেন। এভাবে আপনি যদি কিছুদিন কালোজিরা ব্যবহার করেন তাহলে খুব সহজেই ফোড়া থেকে মুক্তি পাবেন। এখন পাছায় করা হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে চাইলে পোস্টটি পড়তে থাকুন।

পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি

অনেক সময় দেখবেন আমাদের মাঝে অনেকের পাছায় ফোড়া হয়। এক্ষেত্রে সে লজ্জায় কাউকে কিছু বলতেও পারে না আবার সইতেও পারে না। এক্ষেত্রে কি করবেন এই সম্পর্কে অবশ্যই জানা উচিত। আবার অনেক সময় অনেকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এটা লিখে সার্চ করে। কিন্তু কাঙ্খিত ফলাফল পায় না। তাই এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার চেষ্টা করবো। যেখান থেকে আপনারা পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন তাহলে জেনে নেই পাছায় ফোড়া হলে করনীয় কি এই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ দাউদের সবচেয়ে ভালো সাবান ও দাম জেনে নিন

প্রথমত, আপনার যদি পাছায় ফোড়া হয় তাহলে আমরা এই পোস্টটির উপরে যে ফোড়া দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো উল্লেখ করেছি সেগুলো প্রথমে এপ্লাই করবেন। ইনশাআল্লাহ এই ঘরোয়া উপায় গুলো ব্যবহার করলে আপনার পাছার ফোড়া খুব তাড়াতাড়ি ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় অনেকের এই ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করার পরেও পাছার ফোড়া ঠিক হয় না। এক্ষেত্রে কি করবে? এক্ষেত্রে অবশ্যই প্রথমে ভালো একজন চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এবং পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।

  • এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সাধারণত যে সকল কাজ করে বা যে সকল কাজ করতে বলে তার কিছু ধারণা আপনাদেরকে নিচে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আপনারা চাইলে দেখে নিতে পারেন।
  • প্রথমত ডাক্তাররা সেই ফোড়াটি কেটে তার ভিতর থেকে পুঁজ বের করে দেয়।
  • এরপর সেই অংশটি তারা ড্রেসিং করে দেবে। এবং আপনাকে শিখিয়ে দেবে কিভাবে ড্রেসিং করতে হয়।
  • এরপর আপনাকে কাজ করতে হবে। নিয়মিত সে ক্ষতস্থানটি ড্রেসিং করতে হবে।
  • এর সাথে ডাক্তাররা কিছু এন্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশোক ওষুধ দেবে যেগুলো আপনাকে নিয়মিত সেবন করতে হবে।
  • এক্ষেত্রে ডাক্তাররা সাধারণত ক্যাপসুল ফাইক্লক্স ৫০০ মিলিগ্রাম ওষধটি সেবা করার পরামর্শ দেয়।

এছাড়া অনেক সময় অনেকের সদ্য আবির্ভূত ফোড়া হলে শুধুমাত্র অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেলেই সেই ফোড়া সেরে যায়। আশা করছি আপনারা পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এই সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন ও জানতে পেরেছে।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ এতক্ষণ আপনাদের সাথে পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি এবং ঘরোয়া উপায় ফোড়া দূর করার কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এর পাশাপাশি ফোড়া শক্ত হলে করণীয় কি এই সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি আপনারা পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়ে আছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। দেখুন ফোড়াকে আপনি যতই সাধারণ ভাবেন না কেন কিন্তু এটি কিন্তু ততটা অসাধারণ নয়। তাই ফোড়া হলে খুব সাবধানে থাকবেন। কারণ এটি খুবই ব্যথাযুক্ত ও যন্ত্রণাদায়ক। আজকের মত এ পর্যন্তই।। ধন্যবাদ।।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url