ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে জেনে নিন ইতিহাস

বাংলাদেশে এমন কেউ নেই যে কিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেনা। সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যাকে কিনা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডও বলা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর অনেকেই ভর্তি পরীক্ষা দেয় তার মধ্যে খুবই অল্প সংখ্যক ছাত্রই চান্স পায়। আবার অনেকে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারে না। আবার অনেকে জানেও না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এবং কি কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কেও। তাই এই পোস্টটিতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে ও কি কি ডকুমেন্ট লাগে এই নিয়ে আলোচনা করেছি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে
আপনারা যারা জানতে আগ্রহী যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে, কি কি ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র লাগে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে তাদের জন্যই মূলত এই পোস্টটি। আশা করছি আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার জন্য মনোযোগ সহকারে এই পোস্টটি পড়বেন।

ভূমিকা - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে

১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আজ সকলের কাছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যেখানে প্রতিবছর হাজার হাজার লাখ লাখ ছাত্র ভর্তি পরীক্ষা দেয়। যার মধ্য থেকে খুবই অল্প সংখ্যক ছাত্র চান্স পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেমনি সুন্দর তেমনি সুন্দর এর শিক্ষা ব্যবস্থা। তাইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন সবাই দেখে। 

কিন্তু আপনি কি জানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে? জানেন কি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুবিধা কি ইত্যাদি আর এর চাইতে বড় কথা হলো আপনি কি জানেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সম্পর্কে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন এই পোস্টটি থেকে।

আরো পড়ুনঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট কি? 

কারণ এই পোস্টটিতে আমরা আলোচনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হতে কত টাকা লাগে, কি কি কাগজপত্র লাগে, পড়ার সুবিধা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস কি জানুন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে

উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের প্রথম ও বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যাকে কিনা প্রাচ্যের অক্সফোর্ডও বলা হয়। ব্রিটিশ ও উপনিবেশিক আমলে উপমহাদেশের অবহেলিত জনপদগুলোর মধ্যে পূর্ববাংলা ছিল অন্যতম। যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ছিল মুসলিম। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতির দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পূর্ব বাংলার এই জনগোষ্ঠী উচ্চ শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হয়েছিল। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়। 

এটি ঘোষণা করার পর এই অঞ্চলের মানুষের মধ্য বিশেষ করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং ব্রিটিশ সরকারের প্রতি তীব্র ঘৃণার সৃষ্টি হয়। এরপর বাংলা বিভক্তির সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য মুসলিম জনগোষ্ঠীর মধ্য অসন্তোষ দেখা দেয়। যা সরেজমিনে দেখার জন্য ১৯১২ সালে বড় লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ পূর্ব বাংলা সফর করতে আসে। এই সময় নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী, এ.কে. ফজলুল হক সহ পূর্ব বাংলার বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক মিলে বড় লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন। 

এই সাক্ষাৎকারে তারা পূর্ববাংলায় বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীদের শিক্ষাদীক্ষার অগ্রযাত্রা যে চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে তা উল্লেখ করে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানায়। যা বড় লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ মেনে নিয়েছিল। পরে ১৯১২ সালেই এই বিষয়টি একটি সরকারি ঘোষণায় পাস হয়। এরপর একই সালে ব্যারিস্টার রবার্ট নাথানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি কমিটি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য বিস্তৃতভাবে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। 

যে রিপোর্টটি ১৯১৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং এই বছরেই ডিসেম্বর মাসে সেই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রকল্পটি অনুমোদিতও হয়েছিল। এরপর ১৯১৪ সালের শুরু হয় প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ। যেই বিশ্বযুদ্ধের অজুহাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়। এরপর ১৯১৭ সালে ৭ই মার্চ নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ভারতের বিধানসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়টি পুনরায় উপস্থাপন করেন।

আরো পড়ুনঃ গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট এর কাজ কি?  

এবং সে দেশের সরকারের কাছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি জানালে সে দেশের সরকার তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ণ আশ্বাস দেয়। এরপর ১৯১৭ সালেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লর্ড জেমসফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা ও চাহিদা নির্ণয়ের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। এরপর প্রায় এক বছর পরে ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ ড. এম. ই স্যাডলারের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়। যে কমিটি “স্যাডলার কমিশন” নামে খ্যাত। 

এই স্যাডলার কমিশন এর প্রতিবেদনে ব্রিটিশ প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার যথার্থতা স্বীকার করে নেয়। এবং নাথান কমিটির অধিকাংশ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সুপারিশ করলে এই কমিটি সেই সুপারিশকে সমর্থন করে এবং অতিসত্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য মত প্রকাশ করে। এরপর একই সালে অর্থাৎ ১৯১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিল কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার কাছে পেশ করা হয়। এবং যেটি ১৯২০ সালে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনার গভর্নর জেনারেল কর্তৃক চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয়। 

এরপর ১৯২০ সালের ভারতীয় বিধানসভার প্রস্তুতকৃত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে, ৩ টি অনুষদ, ১২ টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৩ টি আবাসিক হল এবং ৮৭৭ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে হাজার ১৯২১ সালে ১ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর কালের পরিক্রমায় এই বিশ্ববিদ্যালয় শুধু যে বিশেষ কিছু জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করেছে তা নয়। বরং ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে পুরো জাতির যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতির অভিভাবক হিসেবে কাজ করেছে।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিভিন্ন প্রতিকূলতার মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে ঘটে যাওয়া বিশেষ কিছু ঘটনা যেমন ইংরেজ আমলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ এবং দেশ বিভাগের প্রতিক্রিয়ায় ইত্যাদি। এরপর পাকিস্তানি আমলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টিকে থাকতে হয়েছে 

৫২ এর ভাষা আন্দোলন, শিক্ষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, সামরিক স্বৈরাচারী বিরোধী সংগ্রাম,  ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং এবং দেশের স্বাধীনতা অর্জনের সরাসরি ভাবে সম্পৃক্ত থেকে। এরপর আবার ১৯৮২ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯০ সালের গণ আন্দোলন, ১৯৯৬ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন মধ্য দিয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে টিকে থাকতে হয়েছে। এবং বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একর জমির উপরে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক সংগ্রামেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা রয়েছে। এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রছাত্রীরা সরাসরি ভাবে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস। এখন চলুন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার সুবিধা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এই সম্পর্কে জেনে নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবিধা জেনে নিন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আছে গৌরবময় একটি ইতিহাস যা কিনা আমরা উপরে প্যারাটিতে আলোচনা করেছি। বর্তমানে জায়গার বিশালতার দিক দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তৃতীয় নম্বরে অবস্থান করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ৬০০ একর জমি।

আরো পড়ুনঃ বিমান বাংলাদেশ কমার্শিয়াল এসিস্ট্যান্ট কি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অনেক সুবিধা রয়েছে। যেহেতু, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা যার প্রাণকেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। তাহলে বুঝতেই পারছেন একটি দেশের রাজধানীতে পড়ার কত সুযোগ সুবিধা আপনি পাবেন। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবিধা গুলো বলে শেষ করা যাবে না। তারপরও কিছু সুবিধা আমরা নিচে তুলে ধরলাম।

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে আপনার বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করতে পারবেন।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়লে নিজের একটি আলাদা আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারবেন।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে আপনি বাংলাদেশ সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারবেন।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে আপনি চাকরির বাজার সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা পাবেন।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করলে আপনি খুব সহজেই আপনার পরিচিতি বাড়াতে পারবেন। যেটি বর্তমানে চাকরির বাজারে খুবই প্রয়োজনীয়।
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা করলে আপনি পড়াশোনার জন্য সুন্দর একটি পরিবেশ পাবেন ইত্যাদি।

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। যেগুলো আপনি ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে বুঝতে পারবেন। এখন চলুন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে তা জেনে নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে?

প্রত্যেক বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রায় হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এবং এই হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে খুবই অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পায়। তাইতো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে শিক্ষার্থীদের আবেগ, উৎকণ্ঠা, কৌতূহলের যেন শেষ নেই। 

এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরেই শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্নের জাল বুনে। প্রতিনিয়ত তারা পরিশ্রম করে, অনেক ত্যাগ স্বীকার করে শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সিট পাওয়ার জন্য। এই রকম হাজার হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পাওয়ার জন্য পরিশ্রম তো করেই স্বপ্ন তো দেখছিই এর পাশাপাশি কিছু শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের মাথায় একটু দুশ্চিন্তাও কাজ করছে যে

আরো পড়ুনঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কমার্শিয়াল এসিস্ট্যান্ট এর কাজ কি  

যদি সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পায় তাহলে সেখানে ভর্তি ফি কত হতে পারে, সেখানে পড়াশোনা করতে কত খরচ হতে পারে এই নিয়ে। তাই আমরা এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এবং পাঁচ বছর পড়াশোনা করতে কত খরচ হতে পারে এই সম্পর্কে। তাই চলুন দেরি না করে জেনে নেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে।

আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোন ইউনিটে ভর্তি হন না কেন সেটা হোক (সাইন্স, কমার্স বা আর্টস) সেখানে প্রাথমিক অবস্থায় আপনার ভর্তি খরচ হবে ২০,০০০ টাকার মতো। তবে ২০,০০০ টাকার বেশি খরচ হবে না ২০,০০০ টাকার মধ্যেই ভর্তি খরচ হয়ে যাবে। এরপর ভর্তি হওয়ার পরে আপনি সেখানে এমবিএ সহ ৫ বছর পড়াশোনাকালীন সময়ে ১০ টি সেমিস্টার পাবেন। যেখানে প্রতি সেমিস্টারে আপনাকে ৬,০০০ টাকা করে কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে।

এই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এবং এমবিএ সহ পাঁচ বছর পড়াশোনা করার জন্য খরচ কত হতে পারে এই সম্পর্কে। উপরে উল্লেখিত টাকাটি শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে। এরপর আপনার থাকা খাওয়ার খরচ আপনাকে নিজেই বহন করতে হবে। আপনি যদি হলে থাকেন তাহলে খরচ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করবে। আর যদি মেসে থাকেন তাহলে খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে। আশা করছি আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার হয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন কত

আমাদের মাঝে অনেকে আছে যারা জানতে চাই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন কত। আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাসিক কোন বেতন দিতে হয় না। তাদের এমবিএ সহ পাঁচ বছরে পড়াশোনা কালীন সময়ে যা খরচ হবে তা ভর্তি খরচের সাথে এবং প্রতি সেমিস্টারে একবারে নিয়ে নেওয়া হয়। এরকম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়। 

বাংলাদেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ই এরকম পদ্ধতিতে চলে। আশা করছি আপনারা বিষয়টি সম্পর্কে ক্লিয়ার হতে পেরেছেন। আর আপনি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে এ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অনুগ্রহ করে উপরের প্যারাটি পড়ুন। আর এখন চলুন আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা জেনে নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজ পত্র লাগে

ধরুন আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছেন। কিন্তু আপনি জানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগে। তাহলে বিষয়টি কেমন হয় বলুন তো? তাই আমরা এই পোস্টটিতে আপনাদেরকে জানিয়ে দেব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগে এই সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ বিমানবালা সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগেঃ

  • ভর্তির জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে তার ভর্তি ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় সনদপত্র যেমন মার্কশিট ও সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • প্রার্থী সর্বশেষ যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাপ্রধান কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রশংসাপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে।
  • ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।
  • মাধ্যমিক শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন কার্ডের ফটোকপি এবং ৫ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।
  • যারা কোটায় ভর্তি হবে তাদের ক্ষেত্রে অনলাইনে ভর্তি ফরম পূরণের সময় কোটা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হবে।

এই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস বা কাগজপত্র। আশা করছি আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানতে পেরেছেন।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ আপনাদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে কত টাকা লাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা পুরো পোস্টটি পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ার স্বপ্ন আমাদের সকলেরই আছে। তাই এর জন্য করতে হবে কঠোর পরিশ্রম। তাই আপনারা যারা সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দিবেন তারা ভালোভাবে প্রিপারেশন নিবেন। আপনাদের জন্য দোয়া থাকবে যেন আপনারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চান্স পান। আর পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ।।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url