বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি কেন এই চাকরি করবেন

ছোটবেলা থেকেই আমরা অনেকেই স্বপ্ন দেখি আকাশে উড়বো। তাইতো আমাদের মাঝে অনেকে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে চাকরি করতে চায়। কিন্তু আপনি কি জানেন বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি এই চাকরির কোন অসুবিধা আছে কিনা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন এই পোস্টটি থেকে। কারণ এই পোস্টটিতে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি ও এর কোন অসুবিধা আছে কিনা এবং বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরবো।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ চাকরি করার স্বপ্ন অনেকেই দেখে। কিন্তু এখানে চাকরি করার আগে আপনাকে অবশ্যই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা ও অসুবিধা গুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যা এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকা - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি

বাংলাদেশের একমাত্র সরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা “বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন” যাকে অনেকে সংক্ষেপে বিমান নামে ডাকে। আমাদের মাঝে যারা বিদেশে নিয়মিত ভ্রমণ করেন তাদের কাছে বিমান কথাটি খুবই পরিচিত একটি শব্দ। বাংলাদেশ যেদিন স্বাধীন হয়েছে তারপর থেকে বাংলাদেশের বিমান এয়ারলাইন্স দেশের ভিতরে এবং বাহিরে নিয়মিত বিমান সেবা পরিচালনা করে আসছে। বর্তমানে বাংলাদেশের বিমান এয়ারলাইন্স অন্যান্য দেশের মতো উন্নতি লাভ করছে এবং ধীরে ধীরে এর পরিধি আরও বাড়ছে।

আমরা সবাই বিমানে ভ্রমণ করার স্বপ্ন দেখি। কিন্তু কয়জনই বা উঠতে পারি বিমানে। কয়জনই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে জানে। অনেকের স্বপ্ন আছে কিন্তু সাধ্য নেই আবার অনেকের সাধ্য আছে কিন্তু তারা বিমানে উঠতে ভয় পায়। এই ভয় পাওয়ার কারণ হলো তারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বা বিমান সম্পর্কে জানে না। কিন্তু যারা নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করেন। এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান। তাদের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানা দরকার।

আরো পড়ুনঃ ১৬ ই ডিসেম্বর কি হয়েছিল?

তাই এই পোস্টটিতে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা ও এই চাকরির কোন অসুবিধা আছে কিনা, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বেতন কেমন ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেছি। যেখান থেকে আপনারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা পাবেন। তাই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৭২ সালের চৌঠা জানুয়ারিতে। তৎকালীন সময়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বাংলাদেশকে একটি বিমান উপহার দিয়েছিল। সেই বিমান টির নাম ছিল Douglas DC 3। এই বিমানটি দিয়েই প্রথম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স তাদের যাত্রা শুরু করে। কিন্তু পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় এই বিমানটি ঢাকার কাছাকাছি একটি জায়গায় এসে দুর্ঘটনা শিকার হয়। এর পরবর্তী সময় ভারত আবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কে আরো দুটি বিমান উপহার দেয়। সেই দুটি বিমানের নাম ছিল Fokker F27s। 

এই বিমানটি দিয়েই মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরীও যাত্রা পরিচালনা করত। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর পূর্বের নাম ছিল এয়ার বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল। যা পরবর্তীতে নামকরণ করা হয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নামে। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লোন হিসাবে World Craft Airlines দুটি বিমান পাই। যেই বিমান দুটির মডেল ছিল Douglas DC 6। এই বিমান দুটি দিয়েই মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা টু কলকাতা যাত্রা করতো। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স Douglas DC 6 এর বিকল্প হিসেবে বিমান ব্যবহার করত। 

যার নাম হলো Douglas DC-6B। এই বিমানটি DC 6 এর চাইতে একটু আধুনিক। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৭২ সালের মার্চ মাসের দিকে Boeing 707 নামক বিমানটি সংযুক্ত করে। যার মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা টু লন্ডনের যাত্রা শুরু করে। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরো চারটি Fokker F27s বিমান যুক্ত করে। এই বিমানগুলো দ্বারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মূলত দেশের অভ্যন্তরীও যাতায়াত সেবা দিত। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৭৪ সালের দিকে দুটি Fokker F27s বিমান বিক্রি করে দেয় এবং এর পরিবর্তে দুটি Boeing 707 বিমান ক্রয় করে।

আরো পড়ুনঃ ৫ ডিসেম্বর কেন বিখ্যাত?  

Boeing 707 বিমান গুলো দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইন্টারন্যাশনাল যাতায়াত সেবা দিত এবং Fokker F27s বিমানগুলো দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের অভ্যন্তরে যাতায়াত সেবা দিত। এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সিডিউল। কিন্তু এরপর ১৯৮১ সালের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স Fokker F27s বিমান গুলোর বিদায় দিয়ে Fokker F28 4000 নামক বিমান সংযুক্ত করে। এরপর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৯৮৩ সালের দিকে Douglas DC10 নামক জাহাজটি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এই জাস্ট টি ব্যবহার করতে মূলত লং ডিস্টেন্স যাতায়াতের ক্ষেত্রে। 

এই সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স দেশের পূর্ব দিকে টোকিও ও জাপান পর্যন্ত এবং দেশের পশ্চিম দিকে নিউইয়র্ক পর্যন্ত বিমান সেবা দিত। Douglas DC10 নামক বিমানটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত করার পর Boeing 707 নামক বিমানের বিদায় ঘন্টা বাজে। এরপর ১৯৮৯ সালের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স British Aerospace ATP নামক তিনটি বিমান সংযুক্ত করে। কিন্তু এই বিমান তিনটি যান্ত্রিক দিক থেকে ছিল খুবই দুর্বল। যার কারণে ওই সময় এই বিমানগুলো যান্ত্রিক দুর্বলের কারণে মাঝে মাঝে ফ্লাইট ক্যানসেল করা হতো। তাই এই বিমানগুলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে বেশিদিন লাস্টিং করেনি। 

এরপর ১৯৯৫ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সাথে Air Bus কোম্পানির সম্পর্ক তৈরি হয়। এবং ১৯৯৫ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এয়ারবাস কোম্পানির কাছে Airbus A310 বিমানটি অর্ডার করে। কিন্তু এই বিমানটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সংযুক্ত হয় ১৯৯৬ সালের দিকে। এই সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স Douglas DC10 এবং Airbus A310 বিমান দুটি দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিমান যাতায়াত সেবা দিত। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের ভিতরে এককভাবে রাজত্ব করেছে। এরপর ২০০৭ সালের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। 

এরপর ২০০৮ সালের দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং কোম্পানির সাথে আরও নতুন দশটি বিমানের জন্য চুক্তি করে। এবং এই বিমানগুলো হাতে পাওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ফ্লাইট চলাকালীন সময় ইন্টারনেট অথবা ওয়াইফাই, টেলিভিশন দেখার সুবিধা এবং মোবাইল যোগাযোগ সুবিধার মত বেশ কিছু যাত্রীসুবিধার উন্নতি করেছে। বর্তমান হিসাব অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এ মোট বিমান রয়েছে প্রায় ২১ টি। যে বিমানগুলো চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৬টি বিমান রয়েছে Boeing 727-800 এই ক্যাটাগরির মধ্যে। এই বিমানগুলোর মধ্যে ২ টি বাংলাদেশে নিজস্ব বিমান এবং বাকি ৪ টি ইজারা নেওয়া হয়েছে। 

বাংলা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি নিজস্ব বিমানের নাম হলো ময়ূরপঙ্খী ও মেঘদূত। এবং বাকি চারটির নাম হলো S2-AEW, S2-AFL, S2-AEQ এবং S2-AFM। এই বিমানগুলোতে আধুনিক সময়ের সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১৪ টি দেশে সফলতার সাথে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এবং ৩০ টি গন্তব্যে নিয়মিত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বর্তমানে ৭০ টি দেশের সাথে বিমান সেবা চুক্তি রয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বেতন কেমন - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি

এতক্ষণ আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ইতিহাস সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জানবো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন সেক্টরের বেতন কেমন এই সম্পর্কে। তবে হ্যাঁ নিচে আমরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিভিন্ন সেক্টরের যে বেতনের কথা উল্লেখ করব সেটি হচ্ছে এভারেজ বেতন। এই বেতন অনেক সময় বেশি হতে পারে আবার কম হতে পারে। তবে আপনি এখান থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন সম্পর্কে একটি ধারণা পাবেন।

আরো পড়ুনঃ ইউরোপে মুসলিম দেশ কয়টি জেনে নিন

১। পাইলট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদ। অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে এই পদের বেতন কম বেশি হয়। তবে একজন পাইলটের প্রাথমিক অবস্থায় বেতন প্রায় ২ লক্ষ টাকা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তো থাকছেই। অভিজ্ঞতার আলোকে পাইলটের বেতন কমবেশি হয়।

  • ৫ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পাইলটের বেতন প্রায় ৬ লক্ষ ২ হাজার ৬১৭ টাকা হয়ে থাকে।
  • ১৫ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পাইলটের বেতন প্রায় ১১ লক্ষ ৩৫ হাজার ৮৯২ টাকা হয়ে থাকে।
  • ২০ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পাইলটের বেতন দেওয়া হয় প্রায় ১২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৭০১ টাকা।
  • ২৫ বছর বা তার উর্ধ্ব কালে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন পাইলটকে বেতন দেওয়া হয় প্রায় ১২ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৫৬ টাকা।

২। বিমানবালা বা কেবিন ক্র। একজন বিমানবালা বা কেবিন ক্রর প্রাথমিক অবস্থায় বেতন হয় ৪৫ হাজার টাকা। এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বেতন আরও বৃদ্ধি পায়।

  • বিমানবালাতে চাকরির বয়স এক বছর অতিবাহিত হলেই তার বেতন দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ টাকার উপরে।
  • পাঁচ বছর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন বিমানবালার বেতন প্রায় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
  • এছাড়া অতিরিক্ত সময় অর্থাৎ প্রতি ঘন্টার জন্য তারা ১৮ ডলার সম্মান পায়। এর বাইরে তো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

৩। এখন আসি ফ্লাইট অপারেশন অফিসারের বেতন সম্পর্কে। সাধারণত যারা তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পাইলট তারাই এই ফ্লাইট অপারেশন পদের অফিসার হিসেবে জয়েন দেন।

  • একজন ফ্লাইট অপারেশন অফিসারকে প্রতি মাসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হয়। এবং এর পাশাপাশি তো বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।

বিঃদ্রঃ উপরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন সম্পর্কে বলা হয়েছে। আর উপরে বিমানবালাদের বেতনের ক্ষেত্রে শুধু স্থায়ী বিমানবালাদের বেতনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর কাজ কি? - বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা কি

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আসল কাজ হলো গ্রাহকদের সুবিধামতো সেবা দেওয়া। এক্ষেত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাহকদের যে সকল সুবিধা দেয়। তা নিম্নে তালিকা আকারে তুলে ধরা হলো।

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স গ্রাহকদের জন্য অগ্রিম আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা চালু করেছে।
  • বিমান উড্ডয়নের সময় গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক খাবার সরবরাহ করা হয়।
  • যেমন- ডায়াবেটিস খাবার, শিশুদের খাবার, নিরামিষ খাবার, এশিয় নিরামিষ খাবার, মুসলিমদের পছন্দ মত খাবার ইত্যাদি।
  • বিমানের ভিতরে মোবাইলে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও টেলিভিশন দেখার সুবিধা রয়েছে।
  • কোন গ্রাহক বিমানের ইকোনমি শ্রেণীর টিকেট বুকিং এর পরেও যদি বিজনেস শ্রেণীর আসন ফাঁকা থাকে তাহলে সেই গ্রাহক বিজনেস শ্রেনীর আসনের সুবিধা নিতে পারবে ইত্যাদি।

এছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আরও অনেক কাজ করে সেগুলো আপনারা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধা

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরি সুবিধা গুলো সম্পর্কে যদি আপনি জানেন তাহলে অবাকই হবেন। কারণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির অনেক সুবিধা রয়েছে। এই চাকরিতে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় তা অন্যান্য চাকরিতে খুব কমই পাওয়া যায়। তাই তো যারা নাটক বা সম্মান ডিগ্রী অর্জন করেছেন তাদের চাকরির জন্য চেষ্টা করা উচিত। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরিতে আপনি যে সকল সুবিধা পাবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুনঃ বিশ্বের সবচেয়ে বড় মুসলিম দেশ কোনটি জেনে নিন

  • প্রথমত, এই চাকরিতে একটি সম্মানীয় চাকরি। আপনি বা আপনারা যদি এই চাকরিতে জয়েন হতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাদের সম্মান আগের চাইতে দ্বিগুণ বেড়ে যাবে।
  • ইতিমধ্য আপনারা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন সম্পর্কে উপর থেকে জেনেছেন। অন্যান্য চাকরির চাইতে এই চাকরির প্রাথমিক অবস্থায় বেতন অনেক বেশি। আর আপনার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই বেতন বৃদ্ধি পাবে।
  • আপনার যদি দেশে বিদেশে ভ্রমণ করার ইচ্ছা থাকে। তাহলে আপনি এই চাকরিতে জয়েন করতে পারেন। কারণ যারা এই চাকরি করে তারা তাদের পরিবারসহ বিনা খরচে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করতে পারে।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সবগুলোই চাকরি প্রায় ৯ম গ্রেডের হয়। যার কারণে আপনি পেতে পারেন অনেক সুবিধা।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরিগুলোতে রয়েছে পদোন্নতি সুযোগ। এবং পদোন্নতি হলে থাকছে ডাবল বেতন।
  • এই চাকরিতে প্রশিক্ষণরত থাকা অবস্থায় আপনি বিভিন্ন দেশে বিনা খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন। যা আপনি অন্যান্য চাকরিতে পাবেন না।
  • এই চাকরিতে আপনি তো অবশ্যই হ্যান্ডসাম একটা সেলারি পাবেন। এর পাশাপাশি আপনি পাবেন বিভিন্ন ধরনের বোনাস। যা ইতিমধ্যে উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
  • এছাড়াও এই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যারা চাকরি করে তারা স্বপরিবারে ফ্রি বিমান টিকেট, সাপ্তাহিক ছুটি, উৎসব ভাতা, বার্ষিক ছুটি, চিকিৎসা ভাতা সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন ইত্যাদি।

বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরিতে যে সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা অন্যান্য চাকরিতে থাকে না। তাই যারা স্নাতক বা সমমান ডিগ্রী অর্জন করেছেন তাদের এই চাকরির জন্য চেষ্টা করা উচিত।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির অসুবিধা কি?

যদিও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। কিন্তু একটা কথা চিরসত্য যে সকল জিনিসেরই ভালো এবং মন্দ দিক রয়েছে। তেমনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরির সুবিধার পাশাপাশি কিছু অসুবিধা রয়েছে। যেগুলো নিচে তালিকা তুলে ধরা হলো। তবে এই চাকরির অসুবিধা খুবই কম।

  • প্রথম অসুবিধা হলো, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চাকরির নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরির জন্য আপনাকে সঠিক যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যা অনেক সময় অনেকের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়।
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চাকরির প্রশিক্ষণগুলো অনেক কঠিন হয়। যা অনেকে সহ্য করতে পারে না।
  • এখানে চাকরি করলে আপনাকে অবশ্যই নিয়মিত বিমান ভ্রমণ করতে হবে। এতে অনেকে মানসিক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় ইত্যাদি।

বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরিতে তেমন কোন অসুবিধা নেই। তবে সাধারণ দৃষ্টিতে যে সকল অসুবিধা হয়ে থাকে বা লক্ষ্য করা যায় তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণে আপনারা হয়তো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স চাকরি সুবিধা কি কেন সবাই এই চাকরি করতে চায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ইতিহাস কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। পরিশেষে একটা কথাই বলবো আপনি বা আপনারা যদি যাত্রীদেরকে আকাশ পথে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিরাপদে পরিবহনের এই মহান দায়িত্বটি কাঁধে নিতে চান।

তাহলে এই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর চাকরিগুলো করতে পারেন। কারণ এই চাকরিতে একদিকে আপনার সম্মান যেমন বাড়বে তেমনি আপনি পাবেন হ্যান্ডসাম একটা সেলারি। আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আর পুরো পোস্টটি পড়ে আমাদের পাশে থাকার জন্য।। ধন্যবাদ।।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url