আশা ও ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি কেমন জেনে নিন বিস্তারিত

বাংলাদেশ সহ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম দুটি উন্নয়ন মূলক সংস্থা হল আশা ও ব্র্যাক। যেই দুটি এনজিও বাংলাদেশে প্রথম যাত্রা শুরু করেছিল ১৯৭৮ ও ১৯৭২ সালে।  এরপর থেকে এই দুটি এনজিও বাংলাদেশের মানুষের আপদে-বিপদে নানান ধরনের লোন প্রদান করে সাহায্য করে আসছে। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেকেই আশা ও ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি কেমন এই সম্পর্কে না জানার ফলে এই সুবিধাটি উপভোগ করতে পারছে না। আর তাই আজকের এই পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও বিশ্বস্ত দুটি এনজিও আশা ও ব্র্যাক সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের তথ্য উপস্থাপন করব।

আশা ও ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি কেমন জেনে নিন বিস্তারিত
যেখানে থাকবে ব্র্যাক ব্যাংক লোন কি, ব্র্যাক এনজিও কি কি ধরনের লোন প্রদান করে, ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে, ব্র্যাক ও আসা এনজিও লোন পদ্ধতি কেমন, ব্র্যাক ব্যাংকের সুদের হার কত ইত্যাদি সব বিষয়গুলো সহ আপনাদের জিজ্ঞাসামূলক কিছু প্রশ্নের উত্তর। আর তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আশা করি আপনারা ব্র্যাক ও আশা এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন।

ব্র্যাক কি?

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানার আগে আমরা আগে জানব ব্র্যাক আসলে কি? (BRAC) ব্র্যাক হল বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একটি নন-গভর্নমেন্ট অর্গানাইজেশন বা এনজিও। এটি শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় এনজিও গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। এটি একটি বৃহত্তম অঙ্গীকারী অর্থনীতি এবং সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা। এই সংস্থাটি বাংলাদেশে অবস্থিত অধিকাংশ গরিব এবং সহায় প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে কাজ করে। এছাড়াও ব্র্যাক এনজিওটি আরো বিভিন্ন ধরনের জনসেবামূলক কাজ করে থাকে যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, মাতৃত্ব এবং কৃষি ইত্যাদি । 

আরো পড়ুনঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন নেওয়া যায়?

এই সংস্থাটির উদ্দেশ্য হল " আলোকিত আর্থিক সম্প্রদায় তৈরি করার মাধ্যমে গরিব এবং সাধারণ মানুষদের সামাজিক স্থানান্তরে সাহায্য করা" এবং "একটি দিকে আলোচনার মাধ্যমে দুর্বলকে শক্তির মাধ্যমে জাগ্রত করা "। ব্র্যাক একটি নন প্রফিট প্রতিষ্ঠান।  যার শাখা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব জেলাতেই অবস্থিত রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের প্রায় 13 টি দেশে ব্র্যাক বর্তমান সময়ে কাজ করে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে আরো বাড়ানোর চিন্তা ভাবনাও রয়েছে।

ব্র্যাক ব্যাংক লোন কি?

আপনাদের মাঝে যাদের ইতিমধ্যে ব্র্যাক ব্যাংকে একটি একাউন্ট রয়েছে তারা চাইলেই সেই একাউন্টের এগেনস্টে বিভিন্ন ধরনের লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকে একাউন্ট থাকা অবস্থায় সেই একাউন্টের এগেনস্টে যদি কেউ লোন নেয় তাহলে সেই লোনটিকেই ব্র্যাক ব্যাংক লোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশে অবস্থিত অন্যান্য সকল ব্যাংকের মতো ব্র্যাক ব্যাংকের লোন সিস্টেম চালু রয়েছে। যেখান থেকে আপনি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে লোন নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংকের লোনগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে যা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের লোন নিচ্ছেন তার উপর। আপনাদেরকে জানানোর উদ্দেশ্যে আমরা ব্র্যাক ব্যাংকের কিছু লোন এর প্রকারভেদ তালিকা আকারে নিচে তুলে ধরলাম।

  • হোম লোন।
  • শিক্ষা লোন।
  • স্যালারি লোন।
  • পার্সোনাল লোন।
  • টিচার্স লোন।
  • মোটর লোন।
  • সিএমএসএমই লোন।
  • ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ঋণ।
  • প্রবাসী ঋণ।
  • নারী ঋণ।
  • মাইগ্রেশন লোন।
  • রেমিট্যান্স লোন।
  • কৃষি ঋণ।
  • নির্ভরতা ঋণ ইত্যাদি।

ব্র‍্যাক এনজিও থেকে কি কি ধরণের লোন পাওয়া যায়?

আমাদের মাঝে অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন যে ব্র্যাক এনজিও থেকে আমরা কি কি ধরনের লোন পেতে পারি। যদিও আমরা ইতিমধ্যে উপরের প্যারাটিতে ব্র্যাক ব্যাংক কি কি ধরনের লোন প্রদান করে তার একটি তালিকা তুলে ধরেছি। তারপরও উপরে উল্লেখিত লোনগুলো ছাড়াও ব্র্যাক ব্যাংক আরও যে সকল লোন তাদের গ্রাহকদেরকে প্রদান করে থাকে তার একটি তালিকা নিচে আবারো তুলে ধরা হলো।

  • ব্র্যাক ব্যাংক অটো লোন।
  • সুরক্ষিত ঋণ।
  • এসএমই নারী উদ্যোক্তা ঋণ।
  • বাণিজ্যিক আবাসন ঋণ।
  • বাণিজ্যিক যানবাহন ঋণ।
  • চাহিদা অনুযায়ী ঋণ।
  • ক্লাস্টার ফাইন্যান্সিং।
  • জামানতসহ সুবিধাজনক ঋণ।
  • সাপ্লাই চেইন ফাইন্যান্স।
  • বাহন ঋণ।
  • পার্সোনাল লোন।
  • ব্র্যাক ব্যাংক -স্বাবলম্বী ইত্যাদি।

ব্র্যাক এনজিও লোন নেওয়ার যোগ্যতা

আমরা অনেকেই বিপদে আপদে পড়ে নানান কারণে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগ মানুষই বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় এনজিও, ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিয়ে থাকি। কিন্তু এখানে একটি প্রশ্ন থেকে যায়। আমাদের মাঝে যে কেউ চাইলেই কিন্তু এই এনজিও থেকে লোন নিতে পারবে না। ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনার মাঝে কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। এখন কি যোগ্যতা থাকতে হবে এই প্রশ্নটিই হয়তো আপনাদের মনে উঁকি দিচ্ছে। চলুন তাহলে ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা থাকতে হবে তা জেনে নেই। 

আরো পড়ুনঃ ব্যাংক কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি

  • প্রথমত, ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ থেকে ৬৫ এর মাঝে হতে হবে। 
  • আপনি ব্র্যাক এনজিও এর যে শাখা থেকে লোন নেবেন অবশ্যই সেই শাখার সদস্য হতে হবে। 
  • আপনার কাছে অবশ্যই সঞ্চয় এবং জামানত থাকতে হবে। 
  • ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো থাকতে হবে। যা আমরা নিচের একটি প্যারায় তুলে ধরেছি ইত্যাদি। 

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি

ব্র্যাক এনজিও লোন মূলত আমাদের মাঝে সেই সকল ব্যক্তিদের প্রয়োজন যারা নতুন গাড়ি কিনতে ইচ্ছুক, নতুন বাড়ি করতে ইচ্ছুক, নতুন ব্যবসা করতে ইচ্ছুক ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কাজের জন্য যাদের অর্থ প্রয়োজন  তাদের জন্য। তবে এক্ষেত্রে ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার সময় একটি বিষয় সম্পর্কে আপনার জানা থাকা দরকার যে আপনি যদি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেন তাহলে আপনার অবশ্যই সেই লোন পরিশোধ করার মতো অর্থ সামর্থ্য থাকতে হবে। কারণ ব্র্যাক এনজিও বাংলাদেশে অবস্থিত অন্যান্য ব্যাংকের মতো আপনার লোন পরিশোধ করার মতো সামর্থ্য বা প্রতিষ্ঠান আছে কিনা, আপনার চাকরি আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় গুলো দেখে আপনাকে লোন দেয়। এখন চলুন আমরা ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই। 

আপনি যদি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সেই লোন নেওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যা ইতোমধ্যে আমরা উপরের প্যারাটিতে তুলে ধরেছি। এ পর্যায়ে আমরা ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি কেমন তা সম্পর্কে জানব। 

আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট করতে কি কি লাগবে

ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে হলে প্রথমত আপনাকে উপরে উল্লেখিত যোগ্যতাগুলো অর্জন করতে হবে। এরপর আপনার কাছাকাছি ব্র্যাক এনজিও এর যেকোনো শাখায় গিয়ে লোনের জন্য আবেদন করলেই আপনি লোন পেয়ে যাবেন। তবে মনে রাখবেন, লোন পরিশোধ করার মতো আপনার আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে তবেই লোনটি আপনি পাবেন। তবে লোন গ্রহণ করার পূর্বে আপনার অবশ্যই ব্র্যাক ব্যাংকের সুদের হার সম্পর্কে জানা থাকা দরকার। যা আমরা নিচে তুলে ধরেছি। এছাড়াও এই ব্যাংকের লোনের জন্য আবেদন করতে যা যা লাগবে সেগুলো আমরা নিচে তুলে ধরেছি। তাই মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন। 

বিঃদ্রঃ ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে এই এনজিওর যেকোনো কর্মকর্তা বা কল সেন্টারে যোগাযোগ করলে আরো আপডেট তথ্য জানতে পারবেন।

ব্র্যাক এনজিও লোনের সুদের হার কত?

আপনি যদি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই এই এনজিও লোনের উপর কত পার্সেন্ট সুদ ধার্য করে তা সম্পর্কে জানা জরুরী। কারণ আপনি যে লোনটি গ্রহণ করবেন তার সুদের হার যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে সেই লোনটি পরিশোধ করতে আপনি ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। তাই ব্র্যাক এনজিও লোনের সুদের হার কত তা জেনে নিন। 

  • সাধারণত ব্র্যাক এনজিও লোনের উপর মুনাফার হার সর্বোচ্চ ২৪% পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
  • তবে আপনি যদি ১ লক্ষ হতে ৫ লক্ষ এর কম পরিমাণ অর্থ লোন হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে ২৪% সুদ প্রদান করতে হবে। 
  • আর আপনি যদি ৫ লক্ষ হতে ১০ লক্ষ এর কম পরিমাণ অর্থ লোন হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে আপনাকে ২২% সুদ প্রদান করতে হবে। 
  • এবং আপনি যদি ১০ লক্ষেরও বেশি অর্থ লোন হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে ২০% সুদ প্রদান করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত ডিজিটের?

এক্ষেত্রে আপনার এই এনজিও থেকে গ্রহণ করা লোন যত কম সময় নিয়ে পরিশোধ করবেন, আপনার সুদের হার তত কমবে। যা অনুমোদনের জন্য আপনার কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ দিন কর্মদিবস সময় নিবে এনজিও কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ব্র্যাক এনজিও আপনাকে কত টাকা লোন দেবে তা কিছুটা আপনার মাসিক বেতনের উপর নির্ভর করতে পারে।

ব্র্যাক এনজিও লোনের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগবে?

ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে আপনার যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন হবে তার একটি তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো। 

  • সদ্য তোলা আপনার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
  • আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। 
  • আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি (যদি থাকে)। 
  • আপনার স্যালারি বা বেতন এর সার্টিফিকেটের ফটোকপি। 
  • আপনার ৬ মাসের ব্যাংক স্টোরি বা স্টেটমেন্ট। 
  • অংশীদার কম্পানি থাকলে তার নথিপত্র।
  • পেশাদার থাকলে তার দলীল।
  • মালিকানার চুক্তি।
  • আপনি এই ব্র্যাক এনজিও এর যে শাখা হতে লোন গ্রহণ করবেন সেই এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন একজন ব্যক্তির জামিনদার এবং তার এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি ইত্যাদি।

ব্র্যাক ব্যাংক লোন সুবিধা

আমরা এতক্ষণ এই পোস্টটি থেকে ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। এ পর্যায়ে আমরা জানবো ব্র্যাক ব্যাংক লোন নিলে আমরা কি কি ধরনের সুবিধা পাব তা সম্পর্কে। নিচে ব্র্যাক ব্যাংক থেকে লোন নিলে যে সকল সুবিধা পাওয়া যাবে তার একটি তালিকা তুলে ধরা হলো। 

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে সরকারি বীমা কয়টি কি কি

  • ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিলে আপনাকে কোন ধরনের প্রক্রিয়াকরণ ফি প্রদান করতে হবে না।
  • আপনি এই লোন পরিশোধের জন্য ১২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন।
  • এই এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করতে কোন ধরনের জটিলতা নেই।
  • বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় এই ব্যাংকের শাখা পাবেন। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।
  • ব্র্যাক ব্যাংকের লোন সুদের হার বেশ ভালই রয়েছে।
  • এই ব্যাংক থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের লোন গ্রহণ করতে পারবেন ইত্যাদি।

আশা এনজিও লোন পদ্ধতি

বর্তমানে বাংলাদেশে ব্র্যাক ব্যাংকের মতো অন্যতম একটি জনপ্রিয় সমাজকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান হল আশা। যেই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বসবাস করা মানুষদেরকে বিপদে-আপদে আর্থিকভাবে লোন প্রদান করে সাহায্য করে থাকে। তবে এর জন্য আপনাকে পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সুদের হারে সাপ্তাহিক বা মাসিক বা বার্ষিক কিস্তি আকারে এই লোন পরিশোধ করতে হবে। আপনারা যে কেউ চাইলেই খুব সহজেই আশা এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন। 

আশা এনজিও লোন পদ্ধতি অত্যন্ত সহজ। তাছাড়াও বাংলাদেশের মানুষ যাতে খুব সহজেই এই এনজিও থেকে লোন নিতে পারে সেই কারণে  বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় এই এনজিও তাদের একাধিক ব্রাঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছে। যেই ব্রাঞ্চগুলো থেকে মানুষ চাইলেই খুব সহজে লোন নিতে পারবে। তবে এই এনজিও থেকে লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন লোনটি গ্রহণ করবেন বা আপনার জন্য কোন লোনটি ভালো হবে। 

আরো পড়ুনঃ সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স কেমন - সোনালি লাইফ ইন্সুরেন্স এর কাজ কি

এক্ষেত্রে আপনি যে লোনটি গ্রহণ করবেন সেই লোনটি বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর, নেওয়ার জন্য আপনার নিকটস্থ আশা এনজিও এর যে কোন ব্রাঞ্চে যেতে হবে। এরপর সেখানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আপনাকে আপনার লোনের বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য জানাবে। এক্ষেত্রে যদি তাদের নিয়ম কানুন আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে বা আপনার অনুকূলে থাকে তাহলে আপনি আপনার সিলেক্ট করা লোনটির জন্য আবেদন করতে পারেন। 

এক্ষেত্রে আবেদন করার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সবকিছু আপনাকে এই ব্রাঞ্চে কাজ করা কর্মচারীগণ জানিয়ে দেবে। এমনকি তারাই আপনার লোন ফরম পূরণ করে দেবে। আর আপনি শুধু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং ছবি জমা দিয়ে লোন ফর্ম এর স্বাক্ষর করবেন, তাহলেই আপনার লোনটি পাশ হয়ে যাবে। আশা করছি আপনারা আশা এনজিও লোন পদ্ধতিটি বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের শেষকথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, এতক্ষণ এই পোস্টটিতে আমরা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত দুটি এনজিও আশা ও ব্র্যাক এর লোন পদ্ধতিসহ আরও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি যদি আপনার যে কোন প্রয়োজনের তাগিদে এই ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করতে যান তাহলে আশা করছি এই পোস্টটি আপনার উপকারে আসবে। তবে যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন গ্রহণ করার পূর্বে অবশ্যই একটি বিষয় মাথায় রাখবেন যে- আপনি যে লোনটি গ্রহণ করছেন তার সুদের হার কত। কেননা সুদের হার বেশি হলে পরবর্তীতে সেই লোন পরিশোধ করতে আপনি ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। তাই সর্বদা লোন গ্রহণ করার পূর্বে সতর্ক থাকবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ।

Share this post with your friends

See previous post See Next Post
No one has commented on this post yet
Click here to comment

Please comment according to Blogger Mamun website policy. Every comment is reviewed.

comment url